ট্রাম্প-বাইডেন শেষ বিতর্কে থাকছে মিউট বাটন

| বুধবার , ২১ অক্টোবর, ২০২০ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে শেষ বিতর্কে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলীয় দুই প্রার্থীকে বাধাহীনভাবে কথা বলার সুযোগ দিতে মিউট বাটন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। নির্বাচনকে ঘিরে আয়োজিত প্রথম বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী একে অপরের কথায় বাধা দিয়ে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন তা এড়াতেই এবার এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
রিপাবলিকান শিবির এ পরিবর্তন নিয়ে আপত্তি জানালেও বৃহস্পতিবার রাতের এ অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছে। ৩ নভেম্বরের ভোটের আগে টেনেসির ন্যাশভিলে হতে যাওয়া এ বিতর্ক দুই প্রার্থীর জন্যই বিপুল সংখ্যক ভোটারের কাছে পৌঁছানোর শেষ সুযোগ বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের। গত মাসের প্রথম বিতর্কে ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও সঞ্চালকের কথার মাঝখানে কথা বলে হট্টগোল বাধিয়েছিলেন। এবারের বিতর্কে প্রতিটি ১৫ মিনিট পর্বের শুরুতে দুই প্রার্থীকে ২ মিনিট করে সূচনা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সেসময় তারা যেন বাধাহীনভাবে কথা বলতে পারেন, সেজন্য মিউট বাটন ব্যবহার করে অন্য প্রার্থীর মাইক্রোফোন বন্ধ রাখা হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। সূচনা বক্তব্যের পর একে একে দুই প্রার্থীর মাইক্রোফোন অন করে দেওয়া হবে, যেন তারা কথা বলতে পারেন।
এই বিতর্কের বিষয়ে রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের ব্যবস্থাপক বিল স্টেপিন বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সুবিধা করে দেওয়ার সর্বশেষ চেষ্টার অংশ হিসেবে শেষ মুহুর্তে নিয়ম পরিবর্তন করলেও ট্রাম্প, জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্ক করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রসঙ্গে বাইডেন শিবিরের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মুখোমুখি শেষ বিতর্কের আগেই অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোটিরও বেশি ভোটার আগেভাগেই তাদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সোমবার পর্যন্ত তিন কোটি ২ লাখ ভোটার হয় ডাকযোগে না হয় আগাম ভোটের কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ব্যালট জমা দিয়েছেন, ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন প্রকল্পের তথ্য থেকে এমনটি জানা গেছে। এই সংখ্যা ২০১৬ সালের মোট ভোটের এক পঞ্চমাংশের বেশি বলে জানিয়েছে তারা।
কোভিড-১৯ মহামারীর বিস্তার রোধে ৩ নভেম্বর ভোটের দিন ভিড় এড়াতে আরও কয়েকটি রাজ্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আগাম ভোটের কেন্দ্র খুলবে, সেক্ষেত্রে আগাম ভোটের পরিমাণ আরও বাড়বে। এক ফ্লোরিডাতেই ডাকযোগে ২৫ লাখের বেশি ভোট পড়েছে, আগাম ভোটের প্রথম দিনেও রাজ্যটির কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
ভোটারদের মধ্যে একজন ৫৭ বছর বয়সী লুইস পেরেজ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় ট্রাম্পের ব্যর্থতার কারণেই তিনি বাইডেনকে ভোট দিচ্ছেন। শুরু থেকেই এ নিয়ে মিথ্যা বলেছেন তিনি, বলেছেন কোনো দলের সঙ্গেই সম্পর্ক না থাকা এ পেশাজীবী।
নিবন্ধিত রিপাবলিকান ভোটার আন্তোনিও সানচেজ বলেছেন তিনি অবশ্যই ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। তিনি স্বাধীনতার পক্ষে ও সমাজতন্ত্রের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন, বলেছেন কমিউনিস্টশাসিত কিউবা থেকে আসা এ প্রকৌশলী। আমার দুই মেয়েই চিকিৎসক। আমার মনে হয় না, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোথাও এটা হওয়া সম্ভব ছিল, বলেছেন ৫৯ বছর বয়সী সানচেজ।
রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসসের সর্বশেষ জনমত জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ফ্লোরিডায় ট্রাম্প-বাইডেনের মধ্যে খুবই সামান্য ব্যবধান দেখা গেছে, যাকে কার্যত টাই বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকদিনের রিমান্ডে ডেক্সি শরীফ
পরবর্তী নিবন্ধকী চায় বাংলাদেশ