ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একইসঙ্গে শান্তির কথা বলেন আর হুমকি দেন। খবর বিডিনিউজের।
কোনটা আমাদের বিশ্বাস করা উচিত? একদিকে তিনি শান্তির কথা বলেন, আরেকদিকে তিনি নির্বিচার হত্যার সর্বাধুনিক অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেন, শনিবার তেহরানে দেশটির নৌবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে এমনটি বলেন তিনি। তিনি জানান, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা চালিয়ে যাবে কিন্তু হুমকির কারণে ভীত নয়। আমরা যুদ্ধ চাই না, বলেছেন তিনি। শুক্রবার ট্রাম্প বলেছেন, ইরানকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর তারা জানে কয়েক দশক ধরে চলা বিরোধ সমাধানে তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় আরব দেশগুলো সফর শেষে শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ার ফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজে চেপে দেশের পথে রওনা হন ট্রাম্প।
ওই বিমানে সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, তারা জানে তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে আর না হলে খারাপ কিছু– খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে। তার মন্তব্যের একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে এমন ভাষ্যই পাওয়া গেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে জানিয়েছেন, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রস্তাব পায়নি। তিনি বলেছেন, কোনো পরিস্থিতিতেই ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে (ইউরেনিয়াম) সমৃদ্ধকরণের তার কষ্টার্জিত অধিকার ত্যাগ করবে না। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরান বৈধ অধিকার থেকে পিছু হটবে না। আমরা ধমকের কাছে মাথা নত করা প্রত্যাখ্যান করায় তারা বলছে, আমরা এই অঞ্চলের অস্থিরতার উৎস। গত রোববার ওমানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চতুর্থ পর্বের আলোচনা শেষ হয়েছে। তারপর থেকে নতুন পর্বের আলোচনার সূচী নির্ধারিত হয়নি।