যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে টাইমস। খবর বিডিনিউজের। এর আগে স্টারমার বলেছিলেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নে ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে তিনি এ মাসেই নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন। জাতিসংঘ সম্মেলনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে। টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সফর চলাকালে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলে তা চেকার্সে দুই নেতার পরিকল্পিত সংবাদ সম্মেলনকে ছাপিয়ে যেতে পারে। একারণেই ট্রাম্প সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরার পর ফিলিস্তিন নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। ওয়াশিংটনের আপত্তির মুখেও ব্রিটিশ সরকার এপথে এগুচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এখনই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে চায় না। তবে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো দেশগুলোও নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সম্মেলনে একই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গত জুলাইয়ে গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ লেবার দলের এমপি’দের চাপের মুখে স্টারমার বলেছিলেন, তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবেন। তবে তিনি শর্ত দিয়ে বলেছিলেন ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতিতে যেতে হবে, দীর্ঘমেয়াদি দ্বি–রাষ্ট্র সমাধানের পথ মেনে নিতে হবে এবং জাতিসংঘকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে দিতে হবে। কিন্তু ইসরায়েল সরকারের বিরোধিতার কারণে এসব শর্ত পূরণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। এর মধ্যেই গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল, হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ওদিকে, বুধবার লন্ডনের মেয়র সাদিক খান প্রথমবারের মতো গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গাজার শিশুদের না খেয়ে মরতে দেখা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বসে পড়তে দেখা, ত্রাণ পৌঁছাতে না দেখা এসব দেখে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আর জাতিসংঘ কমিশনের প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলে একটাই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়: গাজায় গণহত্যা চলছে।