সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ৭৮ বছর বয়সী ডনাল্ড ট্রাম্প। এদিন সকালে ওয়াশিংটন ডিসির সেন্ট জনস চার্চে একসঙ্গে বসে থাকা ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ, অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস, অ্যাপল সিইও টিম কুক ও গুগল প্রধান সুন্দার পিচাইয়ের মতো কোটিপতি টেক প্রধানরা ফিসফিস করে কী প্রার্থনা করেছিলেন তা কেউই জানতে পারবে না। প্রথমে তারা ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রাক–উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গির্জার প্রার্থনায় একসঙ্গে হন। খবর বিডিনিউজের।
তারপরে টেসলা ও স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ক, ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যান ও টিকটক প্রধান শ’ জি চিউয়ের সঙ্গে ক্যাপিটল অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। এভাবেই সোমবার ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ক্ষমতার কাছে প্রযুক্তি প্রধানরা হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। প্রতিবেদন বলছে, এদের ক্ষমতা সম্পর্কে চিন্তা করলে অবাক হবেন। গোটা বিশ্বে প্রতিদিন আনুমানিক তিনশ ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর কথোপকথন নিয়ন্ত্রণ করে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা, যা বিশ্বের পুরো জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশের আলাপ। অন্যদিকে অ্যামাজন পশ্চিম বিশ্বে সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা ও এর পঞ্চম বড় চাকরিদাতা, যেটি ছোট বিক্রেতাদের বাজার বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে, অ্যাপল দেড়শ কোটি আইফোন ব্যবহারকারীর ডিজিটাল জীবন দেখভাল করে, যেখানে স্পেসএক্স মানুষের মহাকাশ ভ্রমণ ও এআইয়ের ভবিষ্যৎ গঠন করে চলেছে ওপেনএআই। বলাই বাহুল্য, এসব প্রযুক্তি প্রধানরা যথেষ্ট স্মার্ট ও বুদ্ধিমান। তারা এ অনুষ্ঠানে যা দেখছেন তা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছেন। এ অভিষেক অনুষ্ঠান কেবল নতুন প্রেসিডেন্টর শপথ গ্রহণ নয়, বরং কর্পোরেট স্বার্থ ও আমেরিকান কর্তৃত্ববাদের মধ্যে একটি সংমিশ্রণের জন্ম দিয়েছে।