যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ইরানের এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানায়, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ শাকেরি। খবর বিডিনিউজের।
৫১ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রয়টার্স জানিয়েছে, অভিযুক্ত শাকেরিকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বর্তমানে ইরানে আছেন বলে ধারণা করছে বিচার বিভাগ। এক বিবৃতিতে মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে, ফরহাদ শাকেরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছেন, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি) গত ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করার দায়িত্ব দেয় তাকে।
তবে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দাবি করেছেন, আইআরজিসির বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ট্রাম্পকে হত্যা করার পরিকল্পনা তার ছিল না। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে ইসরায়েল ও ইরানের বিরোধীদের একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র এটি। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ শাকেরিকে তেহরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের সদস্য বলে দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, তিনি শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
ডাকাতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০০৮ সালে তাকে ইরানে ফেরত পাঠানো হয়। প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, শাকেরি পলাতক এবং তিনি ইরানেই আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ইরান সরকারের কট্টর সমালোচক ইরানি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় শাকেরিকে সহায়তার অভিযোগে নিউ ইয়র্কের দুই ব্যক্তি কার্লিসল রিভেরা ও জনাথন লোডহোল্টকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। শাকেরি কারাগারে থাকার সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই ব্যক্তি।
তবে তারা যাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তাকে প্রসিকিউটররা সরাসরি চিহ্নিত করতে না পারলেও শাকেরিদের বর্ণনা সাংবাদিক এবং অধিকারকর্মী মসিহ আলিনেজাদের সঙ্গে মিলে যায়। আলিনেজাদ ইরানে নারীদের ওপর আরোপিত বৈষম্যমূলক আইনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
২০২১ সালে তাকে অপহরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার ইরানিকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এমনকি ২০২২ সালে তার বাড়ির বাইরে থেকে রাইফেলসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।