সাতকানিয়ায় ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ৩৮ হাজার ৬৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। অন্যদিকে লোহাগাড়ায় মিনি ট্রাক-মাইক্রোবাস থেকে ১৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আমাদের সাতকানিয়া প্রতিনিধি জানান, সাতকানিয়ায় ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ৩৮ হাজার ৬৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এসময় ট্রাক চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার এবং পাচারের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল মো. আবুল হোসেন (৩২) ও মো. মানিক মিয়া (২৯)। চালক আবুল হোসেন কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার মনিপুর এলাকার মৃত কাজী আবদুর রহিমের পুত্র এবং হেলপার মানিক মিয়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার মো. শহীদুল ইসলামের পুত্র। গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের হাসমতের দোকান এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাকযোগে ইয়াবা পাচারের বিষয় জানতে পেরে র্যাব-৭ এর একটি দল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়াস্থ হাসমতের দোকান এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাককে থামানোর সিগন্যাল দিলে গাড়ি থামিয়ে চালক ও হেলপার পালানোর চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ট্রাকের কেবিনের পেছন থেকে উক্ত বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবাগুলোর আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব সদস্য বাদি হয়ে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে শনিবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে লোহাগাড়ায় ১৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ইয়াবা পাচারকাজে ব্যবহৃত মিনিট্রাক ও মাইক্রোবাস।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, বরিশালের গৌরনদী থানার বার্থী এলাকার মৃত মো. বাদশা সরকারের পুত্র মো. সুজন সরকার (৩০), একই থানার উত্তর পালওয়ার্দী এলাকার মো. মালেক সিকদারের পুত্র মো. নিজাম সিকদার (৩৬) ও কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার নাপিতখালী মো. জাফর আলমের পুত্র মো. রিয়াজ উদ্দিন (২২)।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামমুখী একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশী করা হয়। এ সময় রিয়াজ উদ্দিনের কাছে ৫ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। অপরদিকে, মিনিট্রাকে তল্লাশি করে সুজন ও নিজামের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।