ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হল সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ আসামিকে

হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে ২ মাস সময়

| বুধবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ

ছাত্র জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাইআগস্টে হত্যাগণহত্যার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আবদুর রাজ্জাক, গোলাম দস্তগীর গাজী, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সাবেক মন্ত্রীউপদেষ্টা, আমলা, বিচারপতি ও রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আসামিদের মধ্যে আরো রয়েছেনসাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শাহজাহান খান, ফারুক খান, দীপু মনি, কামরুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিকই ইলাহি চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন।

এদিকে গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য দুই মাস সময় দিয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল মঙ্গলবার প্রসিকিউশনকে এই সময় বেঁধে দিয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। খবর বাসস ও বিডিনিউজের।

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং গুম সংক্রান্ত যে অপরাধ, সেগুলো মিলিয়ে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। সেই ব্যাপারে আমরা সময় চেয়েছি। আদালত দুই মাস সময় দিয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য থাকে। আমরা চেষ্টা করব, এর মধ্যে যাতে একটা অগ্রগতি প্রতিবেদন অথবা সম্ভব হলে তদন্ত প্রতিবেদন যাতে আমাদের তদন্ত দল দিতে পারে, তার জন্য আমরা দিনরাত কাজ করব। আমরা সচেষ্ট আছি।

শেখ হাসিনা বিগত ১৬ বছর গোপন কারাগারের নিউক্লিয়াস ছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গুম কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন ধরে সব অপরাধের যে তথ্যউপাত্ত পেয়েছি, সেগুলোর ব্যাপারেও ট্রাইব্যুনাল অপরাধ তদন্তের জন্য আমলে নিয়েছে। এ ব্যাপারেও আমরা রিপোর্ট দেব।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, একইভাবে (বিগত সরকারের) মন্ত্রী পরিষদের সদস্য যারা আছেন, ওবায়দুল কাদেরসহ বাকিদের ব্যাপারে, যারা গ্রেপ্তার আছেন, আব্দুর রাজ্জাক, যিনি আগের দিন পর্যন্ত এখানে ওয়ারেন্টভুক্ত ছিলেন, তাকে আজ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে.. তাদের ব্যাপারেও তদন্ত কাজ চলমান।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও ওবায়দুল কাদের কীভাবে তিন মাস দেশে ছিলেন এবং পরে কীভাবে বিদেশে চলে গেলেন সে বিষয়ে আদালতের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তাজুল। তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিকে আদালত নির্দেশনা দিয়েছে। যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসিনা রেহানা জয় টিউলিপের দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক
পরবর্তী নিবন্ধ১৩২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিল চসিক