নগরের ফিশারিঘাটের পাশে কর্ণফুলী নদীর তীরে মাছ ধরার একটি ট্রলার থেকে অস্ত্রসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ–পুলিশ। তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানায় পুলিশ। ধৃতরা হলেন হরি চন্দ্র দাস (৪০), মো. আসিফ উদ্দিন (২২), মো. ফাহাদ আহাম্মদ (২০), তাপস ধর (২৫) পরিমল সাহা (৪৮), মো. নবী (২৮), মো. রাজীব (২৫), মো. হৃদয় (২০)। তাদের বাড়ি চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায়। গত শনিবার রাাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতার হরি চন্দ্র দাশ ট্রলার মালিক এবং ডাকাত চক্রের দলনেতা। বাকিরা সহযোগী হিসেবে তার নেতৃত্বে ডাকাতি করে। চট্টগ্রাম নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সাঈদ ইবনে রেজা জানান, ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে সাগরে রওনা দেওয়ার জন্য একটি চক্র ট্রলারে অপেক্ষমাণ আছে–এমন তথ্যের ভিত্তিতে ফিশারিঘাট লোহার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে রাখা একটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান শুরু করে নৌ পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যে ট্রলারের ইঞ্জিন রুম থেকে বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর সদরঘাট এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে ট্রলার মালিক হরি চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানান, এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বঙ্গোপসাগরের হাতিয়া, সন্দ্বীপ, কুমিরা চ্যানেলে এবং কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা, বাকলিয়া, কর্ণফুলী এলাকায় বিভিন্ন মাছ ধরার ট্রলার টার্গেট করে। পরে সেগুলোর সামনে গিয়ে রকেট ফ্লেয়ার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে বল্লমসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে উঠে পড়ে মাছসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। এ চক্রটি এক মাসে দুইবার বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করেছে।












