কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার ৬ নম্বর ঘাটে নোঙর করা একটি মাছ ধরার ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১২ জেলে দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলারটিতে রান্না করার সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক, তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ জেলেরা হলেন, আইয়ুব আলী (৫৫), দীল মোহাম্মদ (৩৬), রফিকুল ইসলাম (২২), মনির (২৩), শফিকুল ইসলাম (২৬), আরমান (২২), রহিম (৩০), রহিমুল্লাহ (৩৮), শাহিন (৩৫), ওসমান গনি (২০), আলী আকবর (৩৭) ও দুলাল মাঝি (৪৫)। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ ধরে ফিরে আসা একটি ট্রলার ৬ নম্বর ঘাটে নোঙর করে রাখা ছিল। কিন্তু হঠাৎ ট্রলারটি থেকে একটি বিকট শব্দ ভেসে আসলে তারা ওই ট্রলারে গিয়ে রান্না করার গ্যাস সিলিন্ডারটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা দেখতে পান। বিস্ফোরণে ট্রলারটির ১২ জন জেলে আগুনে ঝলসে যায়। পরে আশেপাশে থাকা জেলেরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে ঘাটে পৌঁছে দেয়। পরে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্ক্ষাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী বিস্ফোরণে আহত ট্রলার মাঝি দুলাল মিয়া বলেন, তরকারি গরম করার সময় হঠাৎ সিলিন্ডারটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আমরা নৌকার ১২ জন মাঝিমাল্লা গুরুতর আহত হই। অনেকেরই অবস্থা বেশ খারাপ।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আহত সকলেই মো. সেলিমের মালিকানাধীন দুলাল মাঝির ফিশিং ট্রলারের জেলে। তারা কক্সবাজার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড কুতুবদিয়া পাড়া ও সমিতি পাড়ার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে আইয়ুবের শরীরের ৬৫ শতাংশ, দীল মোহাম্মদের ৯০ শতাংশ, রফিকের ৩৫ শতাংশ, মনিরের ৩০ শতাংশ, শফিকুলের ২০ শতাংশ, আরমানের ৭০ শতাংশ, রহিমের ২৫ শতাংশ, রহিমুল্লাহর ৯০ শতাংশ, শাহিনের ৬০ শতাংশ এবং ওসমানের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে।