চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের রাস্তার মাথা এলাকায় টোকেন বাণিজ্যের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ট্যাক্সি চালকরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সড়ক পথের হাটহাজারীর নজুমিয়া হাট, মদুনা ঘাট, কুয়াইশ, মোহরার ধুপপোল ও নোয়াপাড়া পথেরহাটে অবরোধকালে চাঁদাবাজদের টোকেন বাণিজ্য স্থায়ীভাবে বন্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে। এ সময় চালকেরা সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। পরে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হলে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। অবরোধ করা স্পটসমূহে পুলিশ এসে সড়ক পথ মুক্ত করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, নোয়াপাড়া পথেরহাটে অবরোধকালে রাউজান থানা পুলিশের একটি দল ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এসে অটোরিকশা চালকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান। তারা যেকোনো মূল্যে মোহরাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৎপর চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অটোরিকশা চালকের সাথে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন। প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এই আশ্বাস পেয়ে চালকরা অবরোধ তুলে নেয়। ছাত্রদল নেতা আবুল কাসেম রানা তার বক্তব্যে অভিযোগ করেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পলাতক অবস্থা থেকে ফিরে এসে আগের মত আবারো প্রতি ট্যাক্সি চালকের কাছ থেকে মাসিক ৯০০ টাকা হারে টোকেন নিতে বাধ্য করছিল। মোহরা কেন্দ্রিক চাঁদাবাজদের জুলুম নির্যাতন ঠেকাতে চালকদের সাথে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ চালকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে রাস্তায় নেমেছে।
চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে চট্টগ্রাম–কাপ্তাই রাস্তার মাথায় (মোহরা) রাউজান, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও রাঙামাটির সড়ক পথে চলাচলকারী প্রতি অটোরিকশা থেকে মাসিক ৮০০ টাকা করে টোকেন দিয়ে চাঁদা আদায় করতো। ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজরা পালিয়ে গেলে এই টোকেন বাণিজ্য বন্ধ হয়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে আগের মতো টোকেন বাণিজ্য চালু করে ফিরে আসা চাঁদাবাজরা এখন থেকে দেড় হাজার টাকায় টোকেন নিতে চালকদের বাধ্য করছিল। যারা চাঁদার টোকেন নিতে অস্বীকার করছিল তাদের গাড়ি ও চালককে লাঠি পেটা করে মোহরা স্ট্যান্ড ছাড়তে বাধ্য করে। এমন অবস্থার মধ্যে চালকরা বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেমেছে। রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। রাউজানে চাঁদাবাজির সাথে যারা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।