শুটার বাকি ৪১তম
প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলেন না আব্দুল্লাহ হেল বাকি। ছিটকে গেলেন টোকিও অলিম্পিকসের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাই থেকেই। আসাকা শুটিং রেঞ্জে রোববার বাছাইয়ে ৬১৯.৮ স্কোর গড়ে ৪৭ প্রতিযোগীর মধ্যে ৪১তম হন বাকি। ২০১৬ সালের রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকেও এর চেয়ে বেশি স্কোর গড়েছিলেন তিনি। সেবার ৬২১ দশমিক ২ স্কোর গড়ে বাছাইয়ে হয়েছিলেন ২৫তম। এই ইভেন্টে গ্ল্যাসগো ও কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জয়ী বাকি এবার পারেননি নিজের সেরা স্কোর ছাপিয়ে ছুঁতেও। ২০১৬ সালে দিল্লীর শুটিং বিশ্বকাপে ৬২৪.৮ স্কোর গড়েছিলেন। সেই স্কোরের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন গত মার্চে দিল্লিতে হওয়া বিশ্বকাপে। সেবার ৬২৪.৫ স্কোর গড়েন ৩১ বছর বয়সী এই শুটার। টোকিওতে তার প্রত্যাশা ছিল নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পারলেন না।
টোকিওর আসরে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের ছয় অ্যাথলেটের মধ্যে সবার আগে ছিটকে গেলেন বাকি। এর আগে রিকার্ভ মিশ্র এককে রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী হারলেও এই দুই আর্চারের ব্যক্তিগত ইভেন্ট বাকি রয়েছে। বাকি তিন অ্যাথলেট দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ এবং স্প্রিন্টার জহির রায়হানের ইভেন্ট বাকি রয়েছে এখনও।
জাপানী ভাই-বোনের ইতিহাস
অলিম্পিকের ইতিহাসে চিরদিনের জন্য প্রথম হয়ে গেলেন জাপানের দুই সহোদর। অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম একই দিনে দুই সহোদর সোনা জয়ের কীর্তি গড়েন। প্রথমে জুডোয় সোনার পদকে চুমু আঁকলেন বোন উতা আবে। ঘণ্টা খানেক পর সোনার পদক জিতলেন ভাই আবে হিফুমি। টোকিও অলিম্পিকসে রোববার জুডোর মেয়েদের ৫২ কেজি শ্রেণিতে সোনা জিতেন উতা। বোনের সাফল্যের পর ৬৬ কেজি শ্রেণিতে সেরা হন ভাই হিফুমি। জর্জিয়ার ভাজা মার্গভেলাশভিলিকে সহজেই হারিয়ে সোনা জেতেন হিফুমি। ব্রোঞ্জ জেতেন দক্ষিণ কোরিয়ার আন বউল ও ব্রাজিলের দানিয়েল কাগনিন। জুডো থেকে এ পর্যন্ত ৩টি সোনা জিতেছে স্বাগতিক জাপান। উতা ও হিফুমির আগে ছেলেদের ৬০ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেরা হয়েছেন তাকাতো নাওহিসা।
সাঁতারে সোনার হাসি ওহাশির
রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জয়ী কাতিনকা হোসসু ধরে রাখতে পারেননি সাফল্যের ধারাবাহিকতা। টোকিও অলিম্পিকসে মেয়েদের ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে বাজিমাত করলেন স্বাগতিক জাপানের সাঁতারু ইউই ওহাশি। রোববার ৪ মিনিট ৩২ দশমিক ০৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন ওহাশি। এই ২৫ বছর বয়সীর হাত ধরে জাপান চলতি আসরে সুইমিং থেকে প্রথম পদক পেল।
হোসসু এবার ৪ মিনিট ৩৫ দশমিক ৯৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে পঞ্চম হয়েছেন হাঙ্গেরির এই সাঁতারু। ওহাশির চেয়ে দশমিক ৬৮ সেকেন্ড বেশি নিয়ে রুপা পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এমা উয়াইয়ান্ট। তার স্বদেশী হালি ফ্লিকিঞ্জার ৪ মিনিট ৩৪ দশমিক ৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।
রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন ভিতালিনা
ভিতালিনা বাতসারাশকিনার হাত ধরে টোকিও অলিম্পিকসে প্রথম সোনা জয়ের স্বাদ পেয়েছে রাশিয়া। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ২৪০.৩ স্কোর নিয়ে অলিম্পিকের রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেন ভিতালিনা। ২৩৯.৪ স্কোর নিয়ে এ ইভেন্টে রুপা পেয়েছেন বুলগেরিয়ার আন্তোয়ানেতা কস্তাদিনোভা। এ ইভেন্টের বাছাইয়ে ৫৮৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়া চীনের জিয়াং রানশিনের সঙ্গী হয়েছে ব্রোঞ্জ পাওয়ার হতাশা। এটি অলিম্পিকের বাছাইয়ের রেকর্ডও। জিয়াং ভাগ বসিয়েছেন ২০১৮ সালে গ্রিসের আন্না কোরাকাকির বিশ্বরেকর্ডে। এ ইভেন্টে হতাশ করেছেন আরুনোভিচ জোরানা। ২০১৭ সালে ২৪৬.৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়া সার্বিয়ান এই শুটার টোকিওতে বাছাইয়ে বাদ পড়েন ১৭তম হয়ে।
হকি স্টিক দিয়ে মাথায় বাড়ি!
অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে অলিম্পিকের হকি ইভেন্টে। ম্যাচ শেষে স্পেনের এক খেলোয়াড়ের মাথায় হকি স্টিক দিয়ে বাড়ি মেরে বসেন আর্জেন্টিনার লুকাস রস্িস। আর্জেন্টিনা ও স্পেনের ম্যাচ শেষ হয় ১-১ সমতায়। আর্জেন্টিনার মাতিয়াস রের সাহায্যে মাঠে শুয়ে স্ট্রেচ করছিলেন স্পেনের দাভিদ আলেগ্রে। প্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের মধ্যে তখন বেশ সমপ্রীতির এক আবহ ছিল। তখনই দৃশ্যপটে এলেন রস্িস আর পাল্টে গেল পুরো চিত্র। আর্জেন্টিনার ৩৬ বছর বয়সী খেলোয়াড় যেন উড়ে গেলেন আলেগ্রের কাছে। তার মুখের সামনে গিয়ে চিৎকার করে এক পর্যায়ে হাতের হকি স্টিক দিয়ে বাড়ি মেরে বসেন মাথায়। তখনও শুয়েই ছিলেন আলেগ্রে। রস্িসর এই কান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন স্পেনের খেলোয়াড়রা। তাদের একজন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়ের গলা ধরে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। আম্পায়ার চেষ্টায় করেন খেলোয়াড়দের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে। এর খানিক পর মাঠ ছাড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এই কান্ডে রস্িসর কোনো শাস্তি হবে কি না এখনও জানা যায়নি।