টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্বসেরার মুকুট জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে পঞ্চম দিনে রোমাঞ্চকর শেষের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও শেষ দিনে তেমন কিছু হলো না। শেষ দিনে ভারত খেলতে পেরেছে মাত্র এক সেশন। অর্থাৎ দুই ঘন্টায় শেষ ভারতের ইনিংস। ফলে ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্বসেরার মুকুট পরল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড এই ভারতকে হারিয়ে। দ্বিতীয় আসরেও ভারত পারলনা শিরোপা জিততে। জয়ের জন্য ৪৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত অল আউট হয় ২৩৪ রানে। শেষ দিন ভারতের দরকার ছিল ২৮০ রান। আর অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু সে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭০ রান যোগ করতে পেরেছে ভারত। ফলে বড় পরাজয়ে আরো একবার কপাল পুড়ে রোহিত শর্মাদের। এই শিরোপা জয়ের ফলে প্রথম দল হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এই চারটি আইসিসি ট্রফি জয়ের অনন্য কীর্তি গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে আড়াইশর নিচে থামিয়ে দিতে ৪১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার স্পিনার ন্যাথান লায়ন। পেসার স্কট বোল্যান্ড নিয়েছেন তিনটি উইকেট। শেষ দিনে যাকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি আশায় ছিল ভারত, সেই বিরাট কোহলি আগের দিনের ৪৪ রানের সঙ্গে ৫ রান যোগ করতেই ফিরেন। সে সাথে ভাঙে ৮৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। ওই ওভারেই এক বল পর শূন্য রানে দিয়ে বিদায় নেন রবীন্দ্র জাদেজা। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানে এরপর কিছুক্ষণ লড়াই করেন কেএস ভারতকে নিয়ে। তবে রাহানের বিদায়ে ৩৩ রানের এই জুটি ভাঙার পর আর বেশিক্ষণ টিকেনি তাদের প্রতিরোধ। ৪৬ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে ধরা পড়েন কিপারের গ্লাভসে। শেষ ৪ উইকেটের তিনটিই নেন লায়ন। অভিজ্ঞ অফ স্পিনারকে রিভার্স সুইপ করে মোহাম্মদ সিরাজ পয়েন্টে বোল্যান্ডের হাতে ধরা পড়তেই উল্লাসে মাতে অস্ট্রেলিয়ানরা। প্রথম ইনিংসে চাপের সময়ে নেমে পাল্টা আক্রমণে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ট্রাভিস হেড। এই শিরোপা জয়ের ফলে ১৬ লাখ ডলার পুরষ্কার পেল অস্ট্রেলিয়া। ভারত আগের আসরেও ফাইনালে হেরেছিল। সেবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছিল বিরাট কোহলির দল। এই পরাজয়ের ফলে গত দশ বছরে কোন আইসিসি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারল না ভারত। এদিকে ব্যাটে–বলে দাপুটে এই জয়ে অ্যাশেজের আগে ইংল্যান্ডকে একটা বার্তাও দিয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। কারন আগামী ১৬ জুন থেকে যে ইংল্যান্ডের এজবাস্টনে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী এই অ্যাশেজ সিরিজ।
