বাংলাদেশ দল কখনোই সেরা একাদশ ম্যাচের আগের দিন ঘোষনা করেনা। একই পথে হেটে গতকালও একাদশ ঘোষনা করেনি বাংলাদেশ দল। তবে টাইগার কোচ ফিল সিমন্স বলেছেন আমাদের একটা ভাবনা আছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে। তবে নানা সমীকরণ মিলিয়ে সম্ভাব্য যে চিত্র ফুটে উঠছে তাতে স্পিনার একজন বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবর্তন আসতে পারে পেস আক্রমণেও। সেই পরিবর্তনের ঢেউয়ের একটি স্বপ্ন পূরণের তীরে পৌঁছতে পারেন তানজিম হাসান। সিলেটের এই পেসার টেস্ট ক্যাপ পেতে পারেন চট্টগ্রামে। পাকিস্তান সুপার লিগ খেলতে নাহিদ রানা চলে যাওয়ায় চট্টগ্রাম টেস্টে পেস বিভাগে শক্তি কমেছে বাংলাদেশের। তবে প্রধান কোচের আশা, স্কিল দিয়ে নাহিদের গতি পুষিয়ে দিতে পারবেন স্কোয়াডে থাকা হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তানজিম। এদের মধ্যে তানজিমের গতিই তুলনামূলক বেশি। এটিই তাকে বয়ে নিতে পারে টেস্ট খেলার কিনারায়। ২০২০ সালে বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জেতানোর নায়কদের একজন তানজিমের ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০২৩ সালে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাদা বলের ক্রিকেটে ২৮টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। দলে থিতু হতে না পারলেও চিনিয়েছেন নিজের জাত।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছিলেন, নাহিদ রানাকে একটি টেস্ট খেলিয়ে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি পিএসএল খেলার জন্য। সেখানে সুযোগ আছে অন্য কারও। সেই অন্য কেউ হওয়ার দৌড়ে ভালোভাবেই আছেন তানজিম। চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তার গতি নিয়ে আলাদা প্রশংসা করেন প্রধান কোচ। তানজিম যেই লেংথে বোলিং করে, যে কোনো সংস্করণে ভালো করতে পারে। গতি দিয়ে সে ব্যাটসম্যানদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। সাদা বলে তাকে দেখেছি। ধারাবাহিকভাবে স্টাম্পে বোলিং করে, ব্যাটসম্যানদের নিয়মিতই কট বিহাইন্ড করে। ব্যাটিং সামর্থ্যও আছে, যা দলের জন্য খুব ভালো। নাহিদ চলে যাওয়ায় গতির জায়গায় তৈরি হওয়া শূন্যতা পূরণে সম্ভাব্য সেরা বিকল্প হতে পারেন তানজিম। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে প্রায় নিয়মিতই ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে বোলিং করেন তরুণ পেসার। তবে গতি তেমন বেশি না থাকলেও হাসান ও খালেদের স্কিলের কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধান কোচ।
তিনি বলেন আমার মনে হয় না শক্তি কমেছে। আমরা গতি হারিয়েছি। নাহিদ রানার মতো গতিময় কেউ নেই। তবে স্কিল আছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে বোলিংয়ের কৌশল জানে। এটি সবসময়ই মন্থর উইকেট। আশা করি আমরা টার্ন আদায় করে নেব এবং পেসাররা স্কিল দিয়ে কাজটা করবে। আমাদের পেসারদের স্কিল আছে। পাকিস্তানে ৫ উইকেট নিয়েছে হাসান। যা এখান থেকে তেমন আলাদা নয়। খালেদও ভালো করেছে। তানজিম এখনও খেলেনি। তবে আমরা জানি সে আক্রমণে কী যোগ করতে পারে। পেস বিভাগে আমাদের স্কিল ও গভীরতা আছে। চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে অবশ্য পরিবর্তন আসতে পারে তিনটি। টানা ব্যর্থতার পর প্রত্যাশার ভার থেকে ‘মুক্তি’ পেতে পারেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার জায়গায় এনামুল হকের খেলার সম্ভাবনা অনেক। নাহিদের বদলে স্পিন বিভাগে শক্তি বাড়িয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের সঙ্গী হতে পারেন নাঈম হাসান। সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে দেশের ১০৭তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পেয়ে যেতে পারেন তানজিম। যার জন্য হয়তো জায়গা হারাবেন খালেদ।