টেস্ট অধিনায়ক হতে চান তাইজুল জানিয়ে দিলেন নিজের প্রস্তুতির কথা

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ১৬ জুলাই, ২০২৫ at ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের অন্যতম অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবার টেস্ট অধিনায়কত্বের দৌড়ে নিজের নাম পেশ করলেন। জানালেন সুযোগ এলে দায়িত্ব নিতে তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত। নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব হারানোর পর বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান।

তারপর থেকেই নতুন টেস্ট অধিনায়ক কে হবেন সে প্রশ্নে নানা নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিসংখ্যানের বিচারে শান্তই এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৪টি টেস্টে ৪টি জিতেছে, একটি ড্র করেছে, হেরেছে ৯টি। জয়ের হার ২৮.৫৭ শতাংশ। তুলনায় সাকিব আল হাসানের অধীনে জয়ের হার ২১.০৫ (১৯ ম্যাচে ৪ জয়) ও মুশফিকুর রহিমের ২০.৫৮ শতাংশ (৩৪ ম্যাচে ৭ জয়)। অনেকে মনে করেন শান্তর জায়গায় যেহেতু ওয়ানডেতে মিরাজ অধিনায়ক হয়েছেন সেহেতু টেস্টেও তাকেই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। তবে বোর্ডের আলোচনা ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে । তারা সম্ভবত আলাদা ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক চায়। এই প্রেক্ষাপটে এগিয়ে আসছেন অভিজ্ঞ তাইজুল। দেশের বাইরে অভিজ্ঞতা বেড়েছে, পারফরম্যান্সেও ধারাবাহিকতা এনেছেন তিনি। ফলে অধিনায়ক হিসেবে তার নাম আলোচনায় আসাটাও অপ্রত্যাশিত নয়।

সমপ্রতি ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাইজুল বলেন আমি মনে করি অধিনায়ককে জায়গা দেওয়া উচিত। তার কথাকে মূল্যায়ন করা উচিত। দল ভালো খেলবে তখনই যখন অধিনায়কের ওপর সবার আস্থা থাকবে। অভিজ্ঞতা যেহেতু আছে তাই দায়িত্ব এলে না করার কিছু দেখি না। এটা লোভের কিছু নয়।

অধিনায়কের একটা ভিশন থাকা দরকার। সে তার দলকে কোথায় দেখতে চায়। এরপর দুই বছরের মধ্যে সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করতে হয়। দল ও ম্যানেজমেন্ট যদি এমন পরিকল্পনায় বিশ্বাস করে, তাহলে সে দিকেই এগোতে হয়। ২০২১ সালের শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর থেকে তাইজুলের বোলিংয়ে এসেছে এক নতুন নিয়ন্ত্রণ। দেশের বাইরে আগের মতো খরুচে না হয়ে এখন অনেক বেশি টাইট লাইনলেংথে বল করছেন। পেস ভ্যারিয়েশনের ব্যবহারে বাড়ছে কার্যকারিতা। তা নিজেই স্বীকার করলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। যদিও বলছেন বয়স একটা বড় ফ্যাক্টর। একটা সময় পর আপনি বুঝবেন, কোথায় বল ফেললে কী হবে। অভিজ্ঞতা তো আছেই। আগে আমি দেশের বাইরে বেশি খেলিনি। এখন নিয়মিত খেলার ফলে বুঝতে পারছি কোন উইকেটে কেমন বল করতে হয়।

নতুন কেউ আসলে শুরুতেই ভালো পারফর্ম করা কঠিন। সময় দিতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সময় পেয়েছি এবং দিনে দিনে উন্নতি করেছি। তিনি আরও বলেন, পেস ভ্যারিয়েশন খুব জরুরি। একটা বল যদি ধীরে করা যায়, তারপর একটা একটু জোরে। তাহলেই ব্যাটার বিভ্রান্ত হবে। আবার একই গতিতে দুইটা বল, একটা ঘুরবে, একটা যাবে সোজা। তাহলে ব্যাটার কী করবে? বড় বড় স্পিনাররাও এটা করে। ৮৫৯০ কিলোমিটার গতিতে দুইটা বল করল, একটা ঘোরে, একটা সোজা যায়। সাধারণত জোরে বল সোজা চলে যায়। ধীর গতির বল ঘুরে। এটা খুব কঠিন ব্যাটারের জন্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠক ভারত আসবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন
পরবর্তী নিবন্ধও. ইন্ডিজকে ২৭ রানে অল আউট করে সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার