টেস্টে উন্নতির পথ খুঁজতে বসছে ওয়ার্কিং কমিটি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ৮ জুলাই, ২০২২ at ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ

টেস্ট ক্রিকেটে ২২ বছর পার করে এলেও এখনো প্রত্যাশিত সাফল্য পায় নি বাংলাদেশ। ফলে টেস্ট পারফরম্যান্সের দুর্দশা ভাবাচ্ছে বিসিবিকে। পারফরম্যান্সে উন্নতি ও দায়বদ্ধতা বাড়ানোর জন্য টেস্টে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানো থেকে শুরু করে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহন করতে যাচ্ছে বিসিবি। এছাড়াও অন্যান্য করণীয় ঠিক করতে বিসিবি সভাপতির গড়ে দেওয়া ওয়ার্কিং কমিটি ঈদের পর সভা করবে বোর্ডের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে। টেস্ট ক্রিকেটের সামপ্রতিক পারফরম্যান্স ভীষণ নাজুক। গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে একটি টেস্টে জয়ের পর সবাই আশা করেছিলেন হয়তো এবার বদলাবে দিন। কিন্তু কোনরকম বদলায়নি দিন। উল্টো দিনকে দিন খারাপের দিকে এগুচ্ছে। নিউজিল্যান্ডে পরের টেস্টে হেরেছে বাজেভাবে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই টেস্টে হেরেছে আরো বাজেভাবে। দেশে ফিরে তুলনামূলক বেশ দুর্বল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টেস্ট ড্র করতে পারলেও পরের টেস্টে আবার হারতে হয়েছে। এরপর চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও জুটেছে দুই টেস্টে হার। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩৪ টেস্ট খেলে টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম হারের সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ২২ বছরে জয় মাত্র ১৬টি। এর মধ্যে ৮টি জয়ই আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বিসিবি নানা সময়ে টেস্ট নিয়ে বিভিন্নরকম আশার কথা বললেও বাস্তবতা এখন উপলব্ধি করতে পারছে বলেই মনে হচ্ছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান গত কয়েক মাসে বেশ হতাশার সাথে বলেছিলেন টেস্টে ভালো দল নয় বাংলাদেশ। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, টেস্টে উন্নতির পথ খুঁজছেন তারা। তিনি বলেন টেস্টে আমরা সেভাবে পারফর্ম করছি না। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করতে পারিনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজেও পারিনি। এটা নিয়ে আমরা অনেক চিন্তিত। বোর্ড সভাপতি ওয়ার্কিং গ্রুপ করেছেন। সবাইকেই এটা নিয়ে ভাবতে হবে। ক্রিকেট অপারেশন্স, গেম ডেভেলপমেন্ট, হাই পারফরম্যান্স, এইজ গ্রুপ কমিটির চেয়ারম্যান, মিলে আমরা মিটিংয়ে বসব। হয়তো ঈদের পরপরই।
দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করতে হবে। টেস্টে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, টেস্ট খেলোয়াড়দের জন্য কি কি সুবিধা বা ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেদিকে আরও বেশি নজর দিতে চাই। যাতে টেস্টে আগ্রহ আরও বাড়ে। একটা টেস্ট দলে যারা খেলবে তাদের যেন পূর্ণ মনোযোগ এখানে থাকে। অনেকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বেশি খেলতে চায়। যারা টেস্টে বেশি আগ্রহী্‌ এবং নিবেদিত তাদের জন্য কি করা যায় এগুলো নিয়ে বসতে চাচ্ছি। আর এ জন্যই ওয়ার্কিং গ্রুপের কথা বলেছেন। সবশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে টেস্টে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়িয়েছিল বিসিবি। সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তখন করা হয়েছিল ৬ লাখ টাকা। সেই ফি আরও বাড়ানোর কথা ভাবছে বিসিবি। ম্যাচ ফি বাড়ানো ছাড়াও আরো কি কি করা যেতে পারে সেই চিন্তাভাবনা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইংল্যান্ডের ব্যাজবল ক্রিকেটের স্থায়িত্ব দেখতে চান স্মিথ
পরবর্তী নিবন্ধওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সফর সূচি