আনোয়ারার টেক্সিচালক সাজ্জাদ (২২) হত্যাকাণ্ডের ২৬ দিন পর পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি আদালতে গতকাল বিকালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ৯টায় আনোয়ারা থানার ওসির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করছেন সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারা সার্কেল সোহানুর রহমান সোহাগ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বটতলী থেকে ভাড়ার কথা বলে টেক্সিচালক সাজ্জাদকে বরুমচড়া ইউনিয়নের কানু মাঝির ঘাট এলাকায় নিয়ে যায় আন্তঃজেলা সিএনজি চোরচক্রের অন্যতম সদস্য সাইফুল। যেখানে পূর্ব থেকে সাইফুলের ভাড়া করা স্থানীয় রমজান আলী প্রকাশ আক্কর, মো. হারুন পাহারায় ছিলেন। আসামী সাইফুল, সুমন ও আশরাফ পরিকল্পনা মতে রাত পৌনে ৮টা নাগাদ কানু মাঝির ঘাটস্থ বেড়িবাধ সংলগ্ন নুরুল হকের ফিসারী খামারের পাশে সিএনজিটি থামিয়ে চালক সাজ্জাদকে জোর করে মুখ চেপে প্রজেক্টের ভিতরে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে শরীরে আঘাত করে ধারালো চুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে খামারের পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে ঘাতকেরা সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার দুদিন পর ১৬ অক্টোবর দুপুরে সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরুমচড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রমজান আলী প্রকাশ আক্কর ও ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হারুন। ঘটনার ১ সপ্তাহ পর অন্য একটি মামলায় চন্দনাইশ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মামলার প্রধান আসামি সাইফুল।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, এ ঘটনার প্রধান আসামি সাইফুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। মামলার তদন্তে জানা গেছে সাইফুল একজন পেশাদার সিএনজি চোর। সিএনজি চুরির সময় সে তিনজনকে মুখে গলায় গামছা পেছিয়ে একইভাবে হত্যা করে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সিএনজি চালক সাজ্জাদকে গত মাসের ১৪ তারিখ বটতলী থেকে নিয়ে বরুমচড়া কানুমাঝির হাট এলাকায় হত্যা করে আর ঘটনার দুই দিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার ২৬ দিন পর দুই আসামি গ্রেপ্তার হলে ঘটনা রহস্য উন্মোচিত হয়।