বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকে পড়েছিলেন ২শ পর্যটক। তবে আবহাওয়া অনুকূলে আসায় শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে পর্যটকরা টেকনাফে ফিরেছেন। অনুমতি পাওয়া কেয়ারী সিন্দাবাদে প্রথমদিনে ১০৮ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন গেছে।
আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হওয়ায় যেকোনো ঝুঁকি এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন। ফলে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়েন পর্যটকরা। শনিবার তারা জাহাজের ফিরতি ট্রিপে ফিরছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী।
এর আগে তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ সদরের দমদমিয়াস্থ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে পর্যটকবাহী ২টি জাহাজ ছেড়ে যায়। জাহাজ ২টি যথাসময়ে ও নিরাপদে সেন্টমার্টিন পৌঁছে ওই জাহাজে করে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরছেন।
গত ৩ অক্টোবর বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল ও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে ট্রলার ও জাহাজ চলাচল হওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে চলতি পর্যটন মৌসুমে ওই নৌরুটে চলাচলকারী ১টি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ইউএনও আরও বলেন, শনিবার মধ্যরাত থেকে টেকনাফে আবহাওয়া স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করে। এতে বাতাসের স্বাভাবিক গতিবেগ ও সাগর উত্তাল না থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ট্রলারসহ সবকিছু চলাচলের অনুমতি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার এ বছরের নতুন যাত্রা করা প্রমোদতরী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের কক্সবাজারের ইনচার্জ এসএম আবু নোমান জানান, মৌসুমের প্রথমদিনে ১০৮ জন পর্যটক নিয়ে যাত্রা করে। প্রতিদিন নিয়মিত জাহাজ চলাচল করবে।