সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে যৌথ অভিযানে উদ্ধারকৃত প্রায় ৪৬ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন–অর–রশীদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক সমুদ্র উপকূল হতে কোস্ট গার্ডের একক এবং র্যাবের সমন্বয়ে ১২টি মাদক বিরোধী অভিযানে সর্বমোট ৪৫ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের ৯ লাখ ৬ হাজার ৪৭০ পিস ইয়াবা, ৬০ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবা ও গাঁজার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয় এবং আলামত হিসেবে ৯৮০ পিস ইয়াবা, ১৭৫ গ্রাম গাঁজা থানায় জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, গত ৩০ এপ্রিল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার স্মারক নং ৪৩৬/২৫ (১১) ২ মোতাবেক বিসিজি স্টেশন টেকনাফে রক্ষিত ৯ লাখ ৫ হাজার চারশত ৯০ পিস ইয়াবা ও ৬০ কেজি ২২৫ গ্রাম গাঁজা ধ্বংসের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
প্রাপ্ত নির্দেশনা মোতাবেক শুক্রবার সকাল ১০টায় বিসিজি স্টেশন টেকনাফে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার–১, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার–৫ (ইনচার্জ মালখানা) এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৯০ পিস ইয়াবা ও ৬০ কেজি ২২৫ গ্রাম গাঁজা ধ্বংস করা হয়। ওই কর্মকাণ্ডে যৌথ অভিযানে অংগ্রহণকারী র্যাব এবং পুলিশের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন–অর–রশীদ বলেন, দেশের আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এবং মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি এবং মাদক পাচার রোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। মাদক পাচার রোধে কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।