কক্সবাজারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের সাথে যৌথ প্রচেষ্টায় ১০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন নতুনভাবে নির্মাণ করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম-জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা)। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নির্মাণাধীন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মধ্যে প্রথম ১২টি নবনির্মিত ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবনির্মিত এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি বৃদ্ধি করেছে এবং দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে। কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য স্থানে সরকারের এই প্রচেষ্টায় আইওএম-ও অংশগ্রহণ করেছে। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা এখন একসঙ্গে কাজ করছি। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকারের নানা পদক্ষেপগুলোর একটি হলো কক্সবাজারে উদ্বোধনকৃত নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক।
আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান আব্দুসসাত্তার এসওয়েভ বলেন, শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নানামুখী চাহিদা পূরণে তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। মানবিক-উন্নয়ন সম্পর্কের ফলাফল যে দীর্ঘস্থায়ী হয়, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক এবং আইওএম-এর এই যৌথ প্রচেষ্টা। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হিসেবে এই ক্লিনিকগুলো খুব প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে যার মধ্যে রয়েছে প্রজনন এবং পারিবারিক ঔষধ, স্বাস্থ্য-পরীক্ষা, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতায় সহায়তা, পুষ্টি কাউন্সেলিং ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডান্ডান চেন বলেন, আমরা মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। এজন্য আইওএম-সহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও বরাদ্দ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।