টেকনাফে বৃদ্ধা নারী হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার অভিযান, পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে জুয়েলার্স মালিকের মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৫ জুলাই, ২০২৪ at ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে বৃদ্ধা নারীকে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে খালে ফেলে দেয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি ছৈয়দ হোসেন ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জুয়েলার্সে বিক্রি করা বৃদ্ধা নারীর লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়। তবে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার অভিযানে যাওয়া পুলিশের ভয়ে ৪ তলা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে চাম্পা জুয়েলার্স নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক দোলন ধর।

গত সোমবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্যার ডেবা এলাকার খাল থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় জাহেদা খাতুন (৮২) নামের বৃদ্ধা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারী সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্যার ডেবা গ্রামের বাসিন্দা ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী। গ্রেপ্তার ছৈয়দ হোসেন মামুন ওই এলাকার হোসেন আহমদের ছেলে।

ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিহত দোলন ধর (৩০) রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকার সোনারাম ধরের ছেলে এবং টেকনাফ পৌরসভা লামার বাজারের চাম্পা জুয়েলার্সের মালিক।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, গত সোমবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্যার ডেবা এলাকার খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জাহেদা খাতুন নামের এক বৃদ্ধা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে পুলিশ ওই এলাকার এজাহার নামীয় আসামি মাইমুনা আক্তার, হাফেজ মিয়া, আব্দুল মোতালেব নামের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। এই ৩ জনের সূত্র ধরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মামুনকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত রাখে। এরই সূত্র ধরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়াপাড়া এলাকা থেকে প্রধান আসামি ছৈয়দ হোসেন মামুনকে বুধবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মামুন স্বীকার করে তার স্ত্রী মাইমুনা এবং অন্যান্য সহযোগী আসামিরা মিলে বৃদ্ধা জাহেরা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর স্বর্ণালংকার লুট করে। এরপর বস্তাবন্দী করে খালে ফেলে দেয়। লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার টেকনাফের লামার বাজারস্থ অংছিং মার্কেটে অবস্থিত চাম্পা জুয়েলার্স নামক দোকানে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করে।

মামুনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ চাম্পা জুয়েলার্স নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে বৃদ্ধার ব্যবহৃত ১২ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন, ৬ আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুল, ১টি ৫ রতি ওজনের নাকফুল এবং ৩ আনা ওজনের কানের চেইনসহ ১ ভরি ৭ আনা ৫ রতি স্বর্ণ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান ওসি। মামুনকেও সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাজেকে বন্যায় দুর্গতদের পাশে সেনাবাহিনী
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে দুইদিনব্যাপী হৃদরোগ বিষয়ক সম্মেলন শুরু আজ