টেকনাফে বিজিবির সাথে ‘গোলাগুলিতে’ ইয়াবা কারবারি নিহত

৫২ হাজার ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি’র সাথে ‘গোলাগুলিতে’ এক ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছে।
এ সময় ৫২ হাজার ইয়াবাসহ একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহত ইয়াবা কারবারির পরিচয় পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের সার্ভার রুমের সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম দ্বারা শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে প্রায় ৭০০ গজ দক্ষিণে জালিয়াপাড়া বরাবর একটি হস্তচালিত নৌকা মিয়ানমার হতে আসতে দেখা যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হতে উক্ত এলাকার বিশেষ টহল কমান্ডারকে বিষয়টি অবগত করার পর বিজিবি’র টহল দল জালিয়াপাড়া নৌকাঘাটে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পরে টহল দল দূর হতে দুইজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে হস্তচালিত কাঠের নৌকাযোগে শূন্য রেখা অতিক্রম করে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে।
টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারিরা বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। ফলে একজন বিজিবি সদস্য আহত হন।
টহল দল কৌশলগত অবস্থান নিয়ে সরকারি সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলিতে একজন ইয়াবা কারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নৌকা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায় এবং অপরজন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরিয়ে শূন্য রেখা বরাবর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দিকে চলে যায়। গোলাগুলির শব্দ থামার পর নৌকাটি তল্লাশি করে ৫২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, “সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি নদীর পাড়ে একটি লাশ পড়ে আছে। তখন বিজিবি সদস্যরা গুলিবিদ্ধ লাশটি এবং একটি কার্তুজের খালি খোসা উক্ত ব্যক্তির পরিহিত কাপড়ের সাথে দেখে ধারণা করা হচ্ছে বিজিবি টহল দলের সাথে সংঘটিত ইয়াবা কারবারিদের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হওয়া ব্যক্তি তিনি। মৃত ইয়াবা কারবারির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”
বিজিবি কর্মকর্তা আরো বলেন, “এ ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্যকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। সরকারি কর্তব্যে বাধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত ৬২
পরবর্তী নিবন্ধচমেকে করোনার টিকা নিতে আগ্রহীদের সংখ্যা বেড়েছে