কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে একদল ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি’ মিয়ানমারে পালিয়ে গেছে বলে বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন। পরে ঘটনাস্থল একাধিক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়; যেগুলো সন্ত্রাসী কার্যক্রম অথবা নাশকতার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল বলে ধারণা করছে বিজিবি।
গত মঙ্গলবার বিকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের খরের দ্বীপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে উখিয়া ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, খরের দ্বীপ এলাকায় নদী পথে বিশেষ অভিযানের সময় সন্দেহজনক কিছু ব্যক্তির উপস্থিতি টের পায় বিজিবি। কিন্তু বিজিবি সদস্যদের দেখা মাত্র সন্দেহজনক ব্যক্তিরা কয়েক রাউন্ড গুলি করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নৌকায় করে পালিয়ে যায়।
পরে খরের দ্বীপ এলাকায় তল্লাশি করে দুটি জি–৩ রাইফেল, একটি এমএ–১ (ভ্যারিয়েন্ট এমকে ২) রাইফেল, একটি এলএম–১৬ রাইফেল এবং আটটি ম্যাগাজিনসহ মোট ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী চোরাকারবারী অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো যেকোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান অথবা নাশকতার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল।
গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে অস্ত্রের উৎস ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধার অস্ত্র ও গুলি টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর ও আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের পাশাপাশি জড়িতদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।