টেকনাফে পাঁচদিন আগে অপহৃত শিশু খায়রুল আমিনকে (১২) পাহাড়ের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। খায়রুল আমিন উপজেলার হৃীলা নাইক্ষ্যংখালী মৌলভী বাজার মো. ইউনুসের ছেলে এবং মৌলভী বাজার ইসলামিক আজিয়া ফয়জুল উলুম হিফজখানার শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা বড়বিল এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে টমটম চালক মো. আলম (২৭), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আহম্মদ হোসেন (৫২), আহম্মদ হোসেনের ছেলে মো. পারভেজ (২০) ও সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আজিজা খাতুনকে (২১) আটক করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, গত শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ১০টার সময় খায়রুল আমিন তার রঙ্গিখালীর বন্ধু ফরহাদের (১২) ঘরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য হ্নীলা বাজার থেকে মো. আলমের টমটমে উঠে। মো. আলম তাকে পৌঁছে দেয়ার কথা বললেও গাড়িটি নিয়ে যায় রঙ্গিখালী পাহাড়ের দিকে। তার আগে পথের মাঝখান থেকে তার অপর সহযোগীকে গাড়িতে তোলে নেয়। পাহাড়ে তোলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা অপহরণকারীরা তাকে হাত–পা বেঁধে ফেলে রাখে। অপহরণকারীরা ভিকটিমকে সামনে রেখে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় তারা গাছের ডাল দিয়ে মারধর করে ভিকটিমের কান্না তার মাকে শোনায়। বিষয়টি তার মা থানা পুলিশকে জানানো হলে স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় দফায় দফায় পাহাড়ের উপর বিভিন্ন ঘর–বাড়ি তল্লাশি করা হয়। তারা বারবার অবস্থান পরিবর্তন করায় ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। ২০ জুন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় টমটম ড্রাইভার আলমকে আটক করে ভিকটিম উদ্ধারের জন্য পাহাড়ের উপর অভিযানের একপর্যায়ে বুধবার ভোর অনুমান ৫টার সময় পাহাড়ের উপর ভিকটিমসহ অপহরণকারীদের সন্ধান পায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের তাড়া করলে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যায়।
ওসি জানান, ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।