কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর নুসরাত আফিস মনি নামের এক কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার হ্নীলার পূর্ব পানখালী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এর আগে শনিবার বাড়ির উঠানে খেলতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। নিহত মনি উপজেলার হ্নীলা হোয়াকিয়া গ্রামের মামুনুর রশিদ বাঁধনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, নুসরাতের কানে থাকা সোনার দুলের লোভে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় মরদেহটি কক্সবাজার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তাকে হত্যার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে পূর্ব পানখালীর নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করছিল মনি। একপর্যায়ে শিশু আফিস মনিকে দেখতে না পায়ে আত্মীয় স্বজনরা খুঁজতে থাকেন। কোথাও না পেয়ে পার্শ্ববর্তী দিলদার আহমদ মেম্বারের পুকুরে জাল ফেলে স্থানীয়রা খুঁজতে থাকেন। ২৪ ঘণ্টা পর ওই পুকুরে গতকাল দুপুরে শিশু আফিস মনির মৃতদেহ ভেসে ওঠে। তাকে উদ্ধারের সময়ে মুখে স্কচটেপ পেঁচানোসহ কানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া স্বর্ণের কানের দুল দুটি ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, অথবা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে কক্সবাজার মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।