বঙ্গোপসাগরে জালে ধরা পড়েছে ৩ মণ ২ কেজি ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ। গতকাল শনিবার দুপুরে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুখখালী ঘাট থেকে মাছটি ৩৬ হাজার টাকায় কিনে নেন আলী আহাম্মদ নামে এক পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলাপাতা মাছ ধরা ও ক্রয়–বিক্রয় নিষিদ্ধ।
পৌরসভার কুলালপাড়ার ট্রলার মালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয়জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ট্রলারটি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। শুক্রবার বিকেলে জেলেরা সাগরে জাল ফেলেন। দুই ঘণ্টা পর জাল টানা শুরু করলে ভেসে ওঠে বিশাল আকারের একটি শাপলাপাতা মাছ। এরপর অন্যান্য জেলেদের সহযোগিতায় মাছটি ট্রলারে ওঠানো হয়। শনিবার (গতকাল) দুপুর ১২টার দিকে মাছটি ঘাটে এনে টেকনাফের মাছ ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদের কাছে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
মাছ ক্রেতা আলী আহাম্মদ বলেন, ৩ মণ ২ কেজি ওজনের মাছটি আমি ৩৬ হাজার টাকায় কিনেছি। মাছটি বেশি দামে বিক্রি জন্য চট্টগ্রাম আড়তদারের কাছে পাঠানো হবে।
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ মাছের ইংরেজি নাম ল্যাপার্ড স্ট্রিং–রে। এ প্রজাতির মাছ সমুদ্রের অগভীর তলদেশ ঘেঁষে বিচরণ করে। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলাপাতা মাছ ধরা, ক্রয়–বিক্রয় নিষিদ্ধ। জেলেদের বিভিন্ন সভা–সেমিনারে এসব শাপলাপাতা ধরতে নিষেধ করা হয়।
