কক্সবাজারের টেকনাফে ৫ আগস্ট রাতে জেলা বিএনপির এক নেতার পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলায় উখিয়া ও টেকনাফের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি, টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ, জাফরের ছেলে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহানকে আসামি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০ জনকে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তার ভাই টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ, আরেক ভাই আবদুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার রাতে টেকনাফ থানায় মামলা তিনটি করেন। টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, ৫ আগস্ট রাতে জেলা বিএনপির নেতা আব্দুল্লাহর পরিবারের মালিকাধীন টেকনাফের আলী উল্লাহ আলো শপিং কমপ্লেঙ, হোটেল নাফ কুইন এবং আব্দুল্লাহ ব্রাদার্স ফিলিং ও গ্যাস স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে তিন ভাইয়ের করা এজাহার মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
আলী উল্লাহ আলো শপিং কমপ্লেঙের ঘটনার মামলার বাদী হয়েছেন কঙবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। মামলায় উখিয়া–টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদিকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৫০–৬০ জনকে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, জাফরের ছেলে ইলিয়াছ আহমদ, দিদার মিয়া, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, রাসেল উদ্দিন, বদির ভাই টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মৌলভী মুজিব, আব্দুস শুক্কুর, জাফরের ছেলে দিদার মিয়া, ফায়সাল, আব্দুল আমিন ও শফিক।
আব্দুল্লাহ ব্রাদার্স ফিলিং ও গ্যাস স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে করা মামলার বাদি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির নেতা আব্দুল্লাহর ভাই জিয়াউর রহমান জিহাদ। মামলায় জাফরের ছেলে দিদার মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৪০–৫০ জনকে।
হোটেল নাফ কুইনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তাদের আরেক ভাই আবদুর রহমান। মামলায় সাবেক এমপি বদির ভাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র মৌলভী মুজিবকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৪০–৫০ জনকে।