টেকনাফে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। হ্নীলায় এক কিশোরকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনার পর অপহরণকারী চক্রটি ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। আর টাকা না পেলে অপহৃত কিশোরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার হ্নীলা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পশ্চিম লেদার নুরালী পাড়ার মৃত নুর আলমের পুত্র নুরুল আবছার (১৫) বাড়ির পাশে রাস্তায় বের হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরধরে মোচনী নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের এইচ ব্লকের নুর মোহাম্মদের পুত্র কালাইয়া (১৯), স্থানীয় নুর মোহাম্মদের পুত্র মনির খান মনিয়া (২০) ও আই ব্লকের মো. আইয়ুব আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিনের (২০) নেতৃত্বে একটি দুবৃর্ত্ত আবছারকে জোরপূর্বক ধরে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ফোনে মাকে জানায় সে। এরপর তার মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে গতকাল সকালে টেকনাফ মডেল থানায় উপরোক্তদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গতকাল বিকাল ৩টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই মাসুদ ফায়সাল ও এএসআই আল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিষয়টি তদন্তে আসে। স্থানীয় জনতা তখন আই ব্লকের মো. আইয়ুব আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিনকে (২০) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কালাইয়া ও মনিয়া গং মিলে নুরুল আবছারকে অপহরণ করেছে বলে স্বীকার করে সে। তবে অপহৃতকে কোথায় নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এরপর ধৃতকে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয়রা।
পুলিশ চলে যাওয়ার পর পরই একটি মুঠোফোন থেকে কল করে অপহৃত নুরুল আবছারের মুক্তির জন্য ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
ভিকটিমের মা রাশেদা বেগম জানান, অভিযুক্ত রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী হওয়ায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আমাদের বিরোধ। তা বসে সমাধানের কথা বললেও তারা তা অগ্রাহ্য করে বাবা হারা ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাইছে। আমি একেবারে গরীব এত টাকা কোথায় পাব? আমার ছেলেকে জীবিত ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি।