কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলার টেকনাফ উপজেলার অর্ধশত কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদকসহ সাহিত্যিকদের একটি বৃত্তের বন্ধন বসেছিল গত সোমবার (৯ জুন) বিকালে। টেকনাফ সদর সাগর উপকূলের লেংগুরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেখানে অর্ধশত লেখক তার প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। অনুষ্ঠিত হয়েছে মনোমুগ্ধকর বই আলোচনা, সাহিত্য আড্ডা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান। একাডেমির সভাপতি আলী প্রয়াসের সভাপতিত্বে নবীন–প্রবীণ ৩০ জন লেখকের বই নিয়ে আলোচনা করেন ৩০ জন আলোচক। ‘সীমান্তের সাহিত্য, সীমাহীন ভাবনা’ শিরোনামকে প্রতিপাদ্য করে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের শুরুতেই পরিচয়পর্ব সম্পন্ন করার পর আমন্ত্রিত লেখক ও আলোচকদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন কবি আলী প্রয়াস, লেখক রফিক উল্লাহ ও শিক্ষক নুরুল ইসলাম মাহমুদ।
এরপর শুরু হয় অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ‘বই আলোচনা’। বই আলোচনা পর্বের লেখকরা হলেন– আবুল কালাম আজাদ, রফিক উল্লাহ, মুহাম্মদ আমির হোসাইন নুরুল ইসলাম মাহমুদ, সন্তোষ কুমার শীল, মুহাম্মদ জামিল, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, আবুল হোছাইন হেলালী, শেখ আনোয়ার, আলী প্রয়াস, বিশ্বজিৎ পাল, রহিম ক্যালভিন, নাফিক আব্দুল্লাহ, নুপা আলম, এম. এরশাদুর রহমান, সাইফুল্লাহ মানছুর, ফারুক আজিজ, আবদুল্লাহ্ বিন নূর, নুর মোহাম্মদ, ইসহাক তুহিন, ফারজানা রুমা, শফিউল্লাহ নান্নু, ফারুক বিল্লাহ, হিমেল রিফাত, আজিজুর রহমান, শাকিল সাহেল, আহমদ বিন শফী, আব্দুর রহমান হায়দার, সীমান্ত হেলাল, সাদেক হোসাইন খায়রি প্রমুখ। আলোচনা পর্ব শেষে সকল লেখক ও আলোচকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন একাডেমির পক্ষে আলী প্রয়াস ও নুপা আলম।
বিশেষ আলোচনা বক্তব্য রাখেন, প্রাবন্ধিক রফিক উল্লাহ, কবি শেখ আনোয়ার হোসেন রানা, লেখক আবছার বিন কামাল প্রমুখ। আলোচকরা বলেন, এই অনুষ্ঠান টেকনাফের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। ১৯৯১ সালের বইমেলার পরে বিগত সাড় তিন দশকের মধ্যে এটাই সাহিত্যের বৃহত্তর অনুষ্ঠান আখ্যা দিয়ে তারা আরও বলেন, টেকনাফ সাহিত্য একাডেমির হাত ধরে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠায় টেকনাফের সাহিত্য সংস্কৃতির সমৃদ্ধির পথ আরও সুগম হবে। অনুষ্ঠান শেষে দশ প্রজাতির দেশীয় মৌসুমি ফল নিয়ে আপ্যায়ন করান এবং ‘জৈষ্ঠ্য উৎসব’ পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। –বিজ্ঞপ্তি।