কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জালে ২০০টি লাল কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। ধরা পড়া একেকটি মাছের ওজন সাড়ে তিন থেকে পাঁচ কেজি। সব মিলিয়ে মাছের ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ মণ।
গত সোমবার ভোরে শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা মো. আতাউল্লাহর ট্রলারে বঙ্গোপসাগরের ‘৯ বাইন’ এলাকায় মাছগুলো ধরা পড়ে। খবর বাংলানিউজের। গতকাল দুপুর একটার দিকে মাছগুলো শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাটে নিয়ে আসা হয় বলে জানান, শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব। ট্রলারের মাঝি মো. আবদুর রশিদ জানান, দুপুরে ১০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে তারা সাগরে মাছ ধরতে যান। রাতে সাগরের ‘৯ বাইন’ এলাকায় জাল ফেলেন। ভোরে জেলেরা জাল তোলা শুরু করলে দেখতে পান, সবগুলোই বড় বড় লাল কোরাল। প্রায় ২০০টি মাছের সবকটি মাছের ওজন সাড়ে তিন থেকে পাঁচ কেজি। সব মিলে প্রায় ৬শ কেজি মাছ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
ট্রলারের মালিক মো. আতাউল্লাহ জানান, শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাট থেকে অনেকগুলো ট্রলার একসঙ্গে সাগরে মাছ ধরতে গেলেও তার ট্রলারেই মাছগুলো ধরা পড়েছে। কয়েক দিন আগেও একই ট্রলারে ১১০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছিল। তিনি প্রতি মণ মাছের দাম ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা করে চেয়েছেন। নুরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাসান নামের দুজন ব্যবসায়ী প্রতি মণ মাছ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। ন্যায্যমূল্য না পেলে বরফ দিয়ে মাছগুলো কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিনি এক জালে ২০০টি লাল কোরাল ধরা পড়ার খবর তিনি শুনেছেন। সুস্বাদু কোরাল বা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী। বঙ্গোপসাগরের গভীর পানির মাছ কোরাল সব সময় হাটবাজারে পাওয়া যায় না। এজন্য মাছের দাম কিছুটা বেশি। তিনি বলেন, মাছটি সাধারণত ১ থেকে ৯ কেজি ওজনের হয়।
এ মাছ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল বিশেষত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। তাছাড়া এশিয়ার উত্তরাঞ্চল, কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্ব আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলেও দেখা যায়।











