সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় অপহৃত বনবিভাগের ১৮ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে জিম্মায় নেন র্যাব সদস্যরা। কিন্তু পৃথকভাবে আরো আটজনকে অপহরণ করেছে সংঘবদ্ধ চক্র। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং–শামলাপুর সড়কে সিএনজিচালিত টেক্সির যাত্রী ও দুই চালকসহ সাতজন এবং গত সোমবার রাত ১১টার দিকে বাহারছড়ার বড় ডেইল থেকে জসিম উদ্দীন নামে এক দোকানদারকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। অপহৃত জসিম স্থানীয় মাস্টার নাজিম উদ্দীনের পুত্র।
এর আগে গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে বন পরিষ্কার করতে যাওয়ার পথে বনবিভাগের ১৮ জন শ্রমিক অপহরণের শিকার হন। এই নিয়ে দুই দিনে ২৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ জন উদ্ধার হলেও আরো আটজনকে উদ্ধার করা যায়নি। তাদের উদ্ধারে পাহাড়ে রুদ্ধশ্বাস অভিযান চলছে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শামলাপুর সিএনজি টেক্সির লাইনম্যান মো. আবদুর রহিম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি টেক্সি হোয়াইক্যং–শামলাপুর সড়কে পেঁছালে ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা গাড়ি দুটির চালকসহ সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা জানিয়েছেন, হোয়াইক্যং–শামলাপুর সড়কে দুইটি টেক্সি থেকে চালকসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে তাদের সঠিক পরিচয় জানা যায়নি। অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে বাহারছড়া ইউপি সদস্য ছৈয়দ হোসেন মেম্বার জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইলের মুদি দোকানদার জসিম উদ্দিনকে ২০–২৫ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল তার দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, দুুই দিনে প্রথম দফায় সোমবার টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৮ জন অপহরণের শিকার হন। পরে অপহৃত সবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে দাবি করে পরিবারের সদস্যরা। তবে মুক্তিপণ ছাড়াই তারা উদ্ধার হয়েছেন। পরে পৃথকভাবে অপহৃত আটজনকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।