কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলি হয়।
গত রোববার দিবাগত রাত ১০টার পর থেকে বিরতিহীনভাবে নুর কামাল ও সাদ্দাম গ্রুপের সঙ্গে সালেহ গ্রুপের গুলিবিনিময় শুরু হয়, যা রাত ১টা পর্যন্ত চলতে থাকে। গুলির শব্দে পুরো ক্যাম্প এলাকায় ৎআতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ১৬ এপিবিএন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, নুর কামাল ও সাদ্দাম গ্রুপ একত্রিত হয়ে সালেহ গ্রুপের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এপিবিএন সদস্যরা একাধিক ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে একটি বিশেষ টিম পাহাড়ে অবস্থান করছে। ক্যাম্পে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শফি, তোহা, সাদ্দাম, নুর কামাল ও সালেহ সহ আরও কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এসব গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পের ভেতর ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় প্রায়ই গোলাগুলি, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
সমপ্রতি এপিবিএন তোহা গ্রুপের প্রধান তুহাকে আটক করেছে। এছাড়া র্যাব অভিযান চালিয়ে ডাকাত শফি গ্রুপের প্রধান শফিকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে। তবে অন্যান্য সশস্ত্র গ্রুপের প্রধানরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।











