উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনধারা এবং অল্প খরচে বিদেশ যাত্রা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের এসবের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফের গহীন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সীমান্ত দিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচার করা হয়। এছাড়া পাচারকারীরা তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে।
সম্প্রতি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে এই মানবপাচার চক্রের কার্যক্রম। টেকনাফের পাহাড়ে পাচারকারীদের গোপন বন্দিশালায় জিম্মি হয়ে পড়ছে বহু রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি। এবার কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বন্দিশালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নারী ও শিশুসহ ২৫ জন জিম্মিকে। এ সময় আটক করা হয় পাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে। গতকাল সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম–উল–হক এ তথ্য জানান। আটকরা হলেন উপজেলার আবুল কালামের ছেলে নূর আলম (৩৬) এবং একই এলাকার প্রয়াত মোহাম্মদ হোছেনের ছেলে ফাহিম (২১)। তিনি বলেন, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুসহ বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার জুম্মা পাড়া সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করে। এ সময় যৌথবাহিনী ২ জন মানবপাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ও আটককৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা।












