টুকু, পলক ও সৈকত ১০ দিনের রিমান্ডে শুনানিতে যা হল

| শুক্রবার , ১৬ আগস্ট, ২০২৪ at ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালক হত্যা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলম। এদিন আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই মো. ইউসুফ। আসামিদের রিমান্ড আবেদন বাতিল চান আসামিপক্ষের আইনজীবী আতাউর রহমান। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খবর বিডিনিউজের।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক ও ছাত্রলীগ নেতা সৈকতকে বুধবার রাতে ঢাকার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের ভাষ্য।

সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট ‘দেশত্যাগের চেষ্টার’ সময় জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার খবর এসেছিল। তখন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, পলককে ‘একটি বাহিনীর কাছে’ হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই ঘটনার আট দিন পর বুধবার রাতে পলককে গ্রেপ্তারের তথ্য দেয় পুলিশ। ৫ অগাস্টের পর জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার টুকু সম্পর্কে তেমন আলোচনা ছিল না। পলকের সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ।

শুনানিতে যা হল : সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের রিমান্ড আবেদন শুনানিতে আইনজীবীরা কথা বলতে না পারলেও শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকতের ক্ষেত্রে এক আইনজীবী সংক্ষিপ্ত শুনানি করেছেন। আসামিদের আদালতে তোলার সময় তাদের লক্ষ্য করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ডিম ছুঁড়ে মারেন, যা আসামিদের হেলমেটে লাগে।

এদিন আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাসের ভেতরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আসামিদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আতাউর রহমান শুনানি করতে চাইলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ওকালতনামা দেওয়া যাবে না বলে চিৎকার করতে থাকেন। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের চাপের মুখে সংক্ষিপ্ত শুনানি করেন আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি এই তিনজনের পক্ষে ওকালতনামা জমা দিলাম। আমি তাদের জামিন চাই।’

আসামিদের কাঠগড়ার লোহার খাঁচায় ঢোকানো না হলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাদের কাঠগড়ায় তোলার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। তবে বিচারক তা আমলে নেননি। রিকশাচালক কামাল মিয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এস আই মো. ইউসুফ রিমান্ড আবেদন পাঠ করে শোনান। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে মিনিট দশেক বাদে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বিচারক এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে বদিসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধউপদেষ্টা হচ্ছেন চট্টগ্রামের ফাওজুল কবির খান