পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ছয় বছর আগের এক মামলায় যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল জানান, দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। খবর বিডিনিউজের।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন–নবী–খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি আকরামুল হাসান মিন্টু, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদল দক্ষিণের সভাপতি এনামুল হক এনাম আছেন দণ্ডিতদের মধ্যে। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয়ে ফেনী যাওয়ার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে আসামিরা পুলিশের কাজে বাধা দেন। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। এ ঘটনায় পল্টন থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ৪০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। বিচারকালে ৫ জনের সাক্ষ্য শুনে গতকাল রায় দিলেন বিচারক।
এদিন আরেক মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আড়াই বছর করে কারাদণ্ডের সাজার রায় এসেছে আরেক আদালতে। ২০১৩ সালের মে মাসে বিএনপির হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর তেজগাঁও থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে মামলাটি হয়েছিল।
এছাড়া পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন–নবী–খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ ১৪ জনকে দেড় বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।