নানা নাটকীয়তার পর সাকিব আল হাসানকেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছে। আর তা নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ খেলতে যাচ্ছে এশিয়া কাপে। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময়টা ভাল যাচ্ছেনা মোটেও। তারপরও আশাবাদী সাকিব এশিয়া কাপে নিজের দল নিয়ে। অবশ্য নতুন করে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব নিলেও নিজের ভূমিকা খুব একটা নতুন কিছু দেখছেন না সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের মতে, নিজের কাজটা দলের সবারই জানা। বিশেষ করে, অভিজ্ঞদের এসব শিখিয়ে-পড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এই অলরাউন্ডার। দলের নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে যোগ দেওয়া শ্রীধরন শ্রীরামের সাথে সভা হয়েছে। যদিও সে সভায় মূলত পরিচয়পর্ব ও টুকটাক আলোচনাই হয়েছে তাদের মধ্যে। সাকিব পরে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, শিগগিরই তারা এশিয়া কাপের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন। এই পরিকল্পনাগুলো সচরাচর কোচ ও অধিনায়ক মিলে করে থাকে। আমাদের এখানে একজন নতুন দায়িত্বে এসেছেন, তার সঙ্গে বসে এগুলো করা হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা। টি-টোয়েন্টিতে দলের মানসিকতার পরিবর্তন নিয়ে গত কয়েক দিনে নানারকম কথা শোনা গেছে বিসিবি সভাপতি থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট ও সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে। আগ্রাসী ব্যাটিং, বড় রানের লক্ষ্যে খেলা, শরীরী ভাষার বদল, এসব কথা হয়েছে অনেক।
সাকিব পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন দলের সবাই তাদের করণীয় জানেন ভালো করেই। সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা থাকবে বলে আমার এমনিতে মনে হয় না। সবাই অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যারা খেলে, তাদের নিজেদেরই একটা আইডিয়া থাকে কীভাবে দলকে জেতানো যায়। সবাই তার জায়গা থেকে চেষ্টা করবে বলেই আমি মনে করি। এজন্য আলাদা করে কাউকে বলে দেওয়ার কিছু নেই। আমরা ফোর-ফাইভের স্টুডেন্ট নই যে আমাদের শিখিয়ে দিতে হবে। ওই জায়গায় আমরা আসলে নেই। ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ে সফরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। তিনি যেরকম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাতে দলের অনেকেই ব্যাটিং করে নিজের জন্য। নিরাপদ একটি স্কোর গড়ে দলে জায়গা টিকিয়ে রাখার জন্য। তার কথায় আভাস ছিল, দলের স্বার্থে খেলার তাগিদ ওই কজনের ব্যাটিংয়ে চোখে পড়ে না। টিম ডিরেক্টরের ওই মন্তব্যের জবাবে সাকিব বলেন জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলার সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা হচ্ছে, আমরা ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসটা দিতে পারি যে, ব্যর্থ হওয়ার ভয় না পেয়ে যেন দলকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করতে পারে।
আমরা যদি তাদের এই আত্মবিশ্বাসটা দিতে পারি যে তারা দলের অংশ এবং তারা দলে থাকবে। তাহলে আগে হোক বা পরে, সুফল পাওয়া সম্ভব।