টি-টোয়েন্টিতে উন্নতির উপাই জানেন ডমিঙ্গো!

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১৫ জুলাই, ২০২২ at ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলে এখন স্বস্তির আবহ। তবে আপাতত চাপা পড়ে থাকা অস্বস্তিগুলোকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। মাত্র মাস তিনেক পরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই সংস্করণে বাংলাদেশের এখনও নাজুক অবস্থা। যদিও ধুঁকতে থাকা দলকে হৃষ্টপুষ্ট করার দাওয়াই জানেন বলেই দাবি করলেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। গায়নায় বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে ডমিঙ্গোর কথোপকথনে উঠে এলো টি-টোয়েন্টির প্রসঙ্গ। ২০ ওভারের ক্রিকেটে স্কিল আর শক্তির খেলায় বাংলাদেশ বরাবরই পিছিয়ে। শারীরিক ঘাটতির সেই পুরনো হাহাকার আবার শোনা গেল বাংলাদেশ কোচের কণ্ঠে। তবে কিছুটা উন্নতির দাবিও তিনি করলেন। তিনি বলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যদিও ফল পক্ষে আসেনি, তবে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। দুটি ম্যাচে ১৬০ রান স্পর্শ করেছি আমরা। এই জায়গাটায় আমরা উন্নতির চেষ্টা করছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে কাজ করছি আমরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা শারীরিক আকৃতিতে আমাদের চেয়ে বড়। ওরা বল পাঠায় স্টেডিয়ামের ছাদে। আমরা কোনোরকমে সীমানা পার করি। শক্তি তাই একটি বড় ব্যাপার। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরে যাওয়া দুই ম্যাচে ১৫৮ ও ১৬৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। ডমিঙ্গোর উন্নতির ইঙ্গিত সেখানেই। শারীরিক ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার ভিন্ন পথও তিনি দেখালেন। তিনি বলেন রান করার ভিন্ন পথ খুঁজতে হবে আমাদের। লিটন দাসের মতো ক্রিকেটাররা হয়তো বিগ হিটার নয়, তবে ফাঁকা জায়গা বল পাঠানোর স্কিল তো আছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এঙট্রা কাভারের ওপর দিয়ে বল পাঠাতে পারে। এই জায়গাগুলোয় আমরা উন্নতি করতে পারি আরও। গ্যাপে বল পাঠানো নিয়ে অনেক কাজ করছি আমরা। আমরা বল মেরে খুব বেশি দূরে পাঠাতে পারি না কারণ জাতিগতভাবেই আমরা ছোটখাটো।
ডমিঙ্গোর বাতলে দেওয়া কৌশল অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্ট এলেই বলা হয় পাওয়ার হিটিংয়ের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে হবে স্কিল হিটিং দিয়ে। কিন্তু উন্নতি বা ধারাবাহিকতা দেখা গেছে সামান্যই। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শানিত করার কিছু সুযোগ অবশ্য পাবে বাংলাদেশ। আগামী মাসের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে জিম্বাবুয়েতে। মাসের শেষ সপ্তাহে হওয়ার কথা এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি। এরপর অক্টোবরের শুরুতে ঠিক বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ হবে নিউজিল্যান্ডে। যেখানে আরেক দল পাকিস্তান। তাই নিজেদের প্রস্তুত করার এতসব সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। এখন দেখার বিষয় কতটা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে টাইগাররা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোনালদোকে কিনতে চায় সৌদি ক্লাব
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে বেলাল চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বেঙ্গুরা ৩ নং ওয়ার্ড চ্যাম্পিয়ন