টিসিবির অক্টোবরের পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু চলতি সপ্তাহে

পাবে ৫ লাখ ৩৫ হাজার কার্ডধারী পরিবার ।। সেপ্টেম্বরের পণ্য বিক্রি শেষ হচ্ছে আজ ।। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় নগরীর ২১ পয়েন্টে চলছে চাল ও আটা বিক্রি

শুকলাল দাশ | বুধবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে সেপ্টেম্বর মাসের টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম আজ শেষ হচ্ছে। অক্টোবরের বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে চলতি সপ্তাহে। অফিসিয়াল ভাবে অক্টোবরের বিতরণ কার্যক্রম (চাল, ডাল, তেল ও চিনি) ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও চট্টগ্রামে শুরু করা সম্ভব হয়নি। ঢাকায় শুরু হয়েছে। টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিস থেকে জানা যায়, এবারও নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৫ লাখ ৩৫ হাজার পরিবার ভর্তুকি মূল্যে মাসব্যাপী চাল, ডাল, তেল ও চিনি পাবেন।

টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের সহকারী পরিচালক সাদ্দাম হোসাইন আজাদীকে বলেন, টিসিবির সেপ্টেম্বরের ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিতরণ কর্মসূচি আজ শেষ হচ্ছে। অক্টোবরের বিতরণ কার্যক্রম অফিসিয়াল ভাবে ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। আমরা এখনো শুরু করতে পারিনি। বরাদ্দের ব্যাপারে আমরা ডিসি অফিসে চিঠি দিয়েছি। এখন টিসিবির পণ্য বিতরণের বিষয়টি ডিসি অফিস থেকে মনিটরিং এবং তত্ত্বাবধান করা হয়। বিতরণ করেন আমাদের ডিলাররা কিন্তু বিতরণ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। ডিসি অফিস থেকে বরাদ্দপত্র দেয়া হলে আমরা ডিলাদের তেল, ডালসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী বরাদ্দ দিই। এরপর খাদ্য অধিদপ্তরের ডিলারদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে আমাদের টিসিবির ডিলাররা চাল বরাদ্দ নেন। তারপর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিতরণ করেন। অক্টোবরের বরাদ্দের জন্য আমরা ডিসি অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি। ডিসি অফিস থেকে এখনো চিঠি পাইনি। হয়তো এই সপ্তাহে শুরু হবে। এবারও ৫ লাখ ৩৫ হাজার ফ্যামিলি কার্ডের পরিবার ভর্তুকি মূল্যে চালসহ নিত্যপণ্য সামগ্রী পাবেন। এদিকে চালের বাজার স্থিতিশীলতা রাখতে খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার এতোদিন খোলা বাজারে নগরী ও জেলায় চাল এবং আটা বিক্রি করে আসলেও এখন শুধুমাত্র নগরীতে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে এখন এই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) ফখরুল আলম আজাদীকে বলেন, এখন মহানগরীর ২১টি পয়েন্টে দোকানের ডিলারদের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যের বিশেষ ওএমএসের চাল এবং আটা বিক্রি কার্যক্রম চলছে। ২১টি পয়েন্টে দোকানের ডিলারদের প্রতিদিন ২১ মেট্রিক টন চাল ও আটা দেয়া হচ্ছে। একজন ক্রেতা সংশ্লিষ্ট ডিলারের কাছ থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি আটা নিতে পারবেন। এখন উপজেলা পর্যায়ে এই কর্মসূচি বন্ধ আছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য প্রতি কেজি ১৫ টাকা দামে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচি ৫ মাস চলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমামলার পর চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক মনিবুরকে বদলি
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ডাচদের রূপকথার জয়