চট্টগ্রাম মহানগরীতে গতকাল বুধবার ৩ হাজার ভাসমান ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মাঝে জনসন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। তন্মধ্যে খলিফাপট্টিতে ৬শ’, মেথরপট্টিতে ৫শ’, হাজারী লেনে ৯শ’, বহদ্দারহাটে ৫শ’ ও নোমান কলেজ এলাকায় ৫শ’ মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। খবর বাসসের।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে নগরীর ১ লাখ ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষকে জনসন কোভিড-১৯ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নগরীর সকল ভাসমান মানুষ ধাপে ধাপে এ টিকার আওতায় আসবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পৃথক জনসন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী।
পৃথক ভ্যাকসিন প্রদান অনুষ্ঠানে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ মানুষ কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে এবং এখানে ১ কোটি ৮ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে। কেউ ভ্যাকসিন না পেয়ে থাকবে না। ছিন্নমূল, ভাসমান, পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায়সহ যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন কার্ড না থাকার কারণে সুরক্ষা অ্যাপস থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদেরকে জনসন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। এ ভ্যাকসিন এক ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন হবে না।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষেরা সুরক্ষিত না থাকলে আমরা কেউ সুরক্ষিত থাকবো না। তাদেরকে দ্বিতীয়বার খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য হবে। তাই তাদেরকে জনসন এন্ড জনসনের এক ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায় এনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।