গত বছরের মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল কবে টিকা আসবে আর এই মহামারী শেষ হবে। তবে টিকা আসা মানেই মহামারী শেষ হবে, বিষয়টি পুরোপুরি সঠিক নয়। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল টিকা নেওয়ার পরও করোনাভাইরাসে শিকার হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো সম্পর্কে।
টিকা নেওয়ার পর বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি পুরোপুরি উদাসীন হয়ে উঠছেন। বিনা প্রয়োজনে বাইরে যাচ্ছেন, মাস্ক পরছেন না, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন না, মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। ফলে নতুন করে ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন তারা। খবর বিডিনিউজের।
এছাড়াও অনেকেই টিকা নেওয়ার পর চিকিৎসকরা যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছেন সেসবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কেউ আবার টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ সময় মতো নিচ্ছেন না কিংবা একেবারেই নিচ্ছেন না। এতে টিকা কার্যকরিতা হারাচ্ছে।
কিছু মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অতিরিক্ত দুর্বল হওয়ার কারণে টিকা নেওয়ার পর তাদের শরীরে ইমিউনিটি গড়ে উঠছেনা। এ কারণেও নতুন করে ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নিলেই যে ভাইরাস নির্মূল হবে, তা নয়। টিকা নেওয়ার পরও মানুষ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হবেন। আর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেবে টিকা।
তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে একপর্যায়ে শরীরের সংক্রমণের মাত্রা এতটাই বেশি হয়ে উঠতে পারে যে তা টিকার জন্যও সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। আর টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত না হলেও, তার শরীরে যেহেতু ভাইরাস আছে, তাই তার কাছ থেকে ভাইরাস ছড়ানো সম্ভব।
টিকা নেওয়া পর ভাইরাসের শিকার মানেই যে নতুন করে সংক্রমণে শিকার হয়েছেন তা নয়। টিকার কাজ হলো তীব্র সংক্রমণকে কমিয়ে মৃদু সংক্রমণ পর্যায়ে নিয়ে আসা। আর এখন পর্যন্ত কোনো টিকাই শতভাগ সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়। তাই টিকা নিলেও আপনার কোভিড-১৯’য়ে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকে কোনো অবস্থাতেই অবহেলা করা যাবে না।