এবার করোনার টিকার আওতায় আসছে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সীরা। এই বয়সীদের টিকাদানের লক্ষ্যে এরইমধ্যে জেলা ভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এই বয়সী (৫-১২ বছর) শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য ঢাকায় (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে) পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম। জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫-১২ বছর বয়সী দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে জানিয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। আমরা তা পাঠিয়ে দিয়েছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী- জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২ হাজার ২৬৯টি। এসব প্রতিষ্ঠানে ৫-১২ বছর বয়সী (১ম-৫ম শ্রেণির) শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৯ জন। এছাড়া বেসরকারি স্কুলগুলোতে এই বয়সী আরো ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সবমিলিয়ে জেলার ৫-১২ বছর বয়সী মোট ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল।
দেয়া হবে বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের টিকা
৫-১২ বছর বয়সীদের বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের টিকা দেয়া হবে বলে এর আগেই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। গত ২৯ এপ্রিল মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, আগামী জুন মাসে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের করোনা টিকা দেওয়া হবে। শিশুদের জন্য এই টিকা বিশেষ ধরনের ফাইজার টিকা। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি পেয়েছি এবং ইতোমধ্যে ৩০ লাখ টিকা আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে।
টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন সুবিধার্থে এই বয়সী (৫-১২ বছর) শিশুদের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতেও মা-বাবাদের পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী। যাতে টিকা নিতে সমস্যায় পড়তে না হয়।
এদিকে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জুনে ৫-১২ বছর বয়সীদের টিকাদানের কথা বলা হলেও দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী। যদিও এ বিষয়ে অনলাইনে কয়েকদফা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সকল জেলার সিভিল সার্জন সভায় অংশ নেন। ৫-১২ বছর বয়সীদের টিকাদানের জন্য কেন্দ্র চূড়ান্তকরণ ও প্রস্তুতিসহ সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়। তাছাড়া এই বয়সীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে, যা বিশেষভাবে তৈরি। এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো টিকাদান শুরুর দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।