করোনাভাইরাসের টিকার জন্য কেউ অনলাইনে নিবন্ধন করতে না পারলে টিকাদান কেন্দ্রেও সেই ব্যবস্থা রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “টিকার জন্য সবাই আমাদের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। অ্যাপে না পারলে সাহায্য নেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে সাহায্য নিতে পারেন। টিকাদান কেন্দ্রে গেলে ফরম ফিলাপ করে দিলে তারাই নিবন্ধন করে দেবে। খবর বিডিনিউজের।
“কাজেই সব ব্যবস্থা আছে। আপনি টিকা নেন, সুস্থ থাকেন, দেশকে সুস্থ রাখেন।”
জাহিদ মালেক জানান, এরইমধ্যে সব জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। শিগগিরই উপজেলা পর্যায়েও যাবে। ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবে স্বাস্থ্য বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (িি.িংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ) সীমিত আকারে উন্মুক্ত করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুরক্ষা অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলেও পাওয়া যাবে। তখন মোবাইল অ্যাপ দিয়েও নিবন্ধনের কাজটি করা যাবে। টিকা নিতে আগ্রহী সবাইকেই নিবন্ধনের কাজটি করতে হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে শুরু হবে গণ টিকাদান। করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যাদের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে, তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব টিকারই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। অঙফোর্ডের টিকারও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তবে এই টিকা অনেক নিরাপদ। “শুধু শহর নয়, একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের মুরুব্বীরা, মা-বোনেরা আছেন, তাদের আহ্বান করব আমাদের জেলা-উপজেলায় এসে টিকা নেয়ার জন্য।” স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “আপনারা আপনাদের এলাকার মানুষকে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন টিকাদানে।”
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার যে কমে এসেছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ হার ধরে রাখতে হবে, আর সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। “এখন শনাক্তের হার ৩ শতাংশের ঘরে আছে। আমরা একটা ভালো পর্যায়ে আছি। এটা ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে রাখতে হলে কিছু কাজ আমাদেরও করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত।”