টিকাদান কার্যক্রমে ই–ট্র্যাকার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল দুপুরে নগরের জিইসি মোড়স্থ একটি হোটেলে এর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, শিশুদের টিকাদানের ইপিআই কার্যক্রমকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে রূপান্তরের মাধ্যমে এক বছরের নিচে সকল শিশুকে চিহ্নিত করা এবং আরও নিখুঁতভাবে অধিকতর কাভারেজের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে টিকাদান কার্যক্রমে ই–ট্র্যাকার চালু করা হয়।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশের টিকাদান কার্যক্রমে ইমিউনাইজেশন ই–ট্র্যাকারের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এক বছরের নিচে সকল শিশুকে, বিশেষ করে শহর এলাকার জিরো ডোজ, আন্ডার ইমিউনাইজড এবং মিসড কমিউনিটির শিশুদের খুঁজে বের করে টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর জন্য একটি ইউনিক বা অনন্যা আইডি তৈরি হবে। এতে ওই শিশু বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে সহজ, দ্রুত ও নির্ভুলভাবে টিকাদান সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
তিনি বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যসেবায় সমপ্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। ইপিআই কার্যক্রম একটি বিশ্বব্যাপী কর্মসূিচ, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংক্রামক রোগ থেকে শিশুর অকালমৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধ করা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৯৮৯ সাল থেকে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৭ ইপিআই জোনের মাধ্যমে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী–অস্থায়ী প্রায় ৩৭০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই ইপিআই কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের ইপিআই কর্মসূচিতে যে সুনাম ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে তা আজ সারা দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ইপিআই কার্যক্রম অধিকতর জোরদারকরণের লক্ষ্যে স্মার্ট হেলথ বিডি অ্যাপ–এর মাধ্যমে ইপিআই ই–ট্র্যাকারে কার্যক্রম ১ জানুয়ারি থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ২০ এপ্রিল থেকে জিআইএস বেজড অনলাইন মইক্রোপ্লাানিং অ্যান্ড রিপোর্টিং ইপিআই কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৩ হাজার শিশুকে অ্যাপ–এর মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়েছে। গতকাল মূলত এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান মায়া ভেন্ডেন্যান্ট, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ফিল্ড অফিসার মাধুরী ব্যানার্জী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের হেলথ্ স্পেসালিস্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ছালেহ্ আহম্মদ চৌধুরী, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, নাজমুল হক ডিউক, মো. ইসমাইল, সফিউল আজিম, আবদুস সালাম মাসুম, নুরুল আমিন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম নুরজাহান।