ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের খারাপ অবস্থান ‘কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য এনজিওর মতো টিআইও তাদের পরিচালনার জন্য যারা অর্থ যোগান দেয়, তাদের স্বার্থ দেখে। আর তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেশি, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। খবর বিডিনিউজের।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বৃহস্পতিবার তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে যে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করেছে, সেখানে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়েছে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১২ নম্বরে। আর পাকিস্তান আছে ১৭ নম্বরে। গতবছর এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪ নম্বরে। অর্থাৎ, টিআইয়ের বিচারে বাংলাদেশের দুই ধাপ অবনমন হয়েছে।
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনটি আমি দেখেছি, সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আগের স্থানেই আছে কিন্তু অন্যদের স্কোর ভালো হওয়ায় তাদের মতে দুই ধাপ নিচে নেমেছে। তবে বাংলাদেশের অবস্থান আসলে নিচে নেমেছে, নাকি তাদের পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে এটি হয়েছে, সেটিও একটি বিষয়। কারণ তাদের নানা পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা আমাদের জানা। হাছান মাহমুদ বলেন, টিআই একটি এনজিও। এর প্রতিবেদন আমাদের দেশে যেভাবে প্রচার হয়, পাশের দেশেও তা এতো গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয় না। অন্যান্য এনজিও যেভাবে চলে, তারাও সেভাবে দাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে চলে এবং ফান্ডদাতাদের স্বার্থও টিআইকে সংরক্ষণ করতে হয়।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় তার বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন।