টার্ফের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৪:২৬ পূর্বাহ্ণ

নগরের চান্দগাঁও থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চান্দগাঁও স্পোর্টস জোন নামের খেলার মাঠের (টার্ফ) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জুবায়ের উদ্দীন বাবু (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক সুমন বড়ুয়া বলেন, পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকায় কাউন্সিলর অফিসের পাশেই একটা খেলার মাঠ (টার্ফ কোর্ট) আছে। সেটার দখল নিয়ে ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় দু’জন ছুরিকাঘাতে আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জুবায়ের উদ্দীন বাবু নামের এক যুবককে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

জানা গেছে, টার্ফটি উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। যেখানে অংশ নিয়েছিল সানোয়ারা বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খেলাটি বিকাল ৫টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান অতিথি বক্তব্য দিতে দেরি হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে ম্যাচটি শুরু হয়। প্রায় আধঘণ্টা খেলা চলার পর শিক্ষার্থীরা দেখতে পায় টার্ফের প্রধান ফটকে খুব বেশি ঝামেলা হচ্ছিল। ভিতরে থাকা টার্ফের লোকজনও প্রধান ফটকে গিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। উত্তপ্ত সেই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, টার্ফ দখল নিয়ে স্থানীয় ছাত্রদলের ছোট মোশারফ ও ছোট আমিন পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এর জের ধরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষ হয়। এই নিয়ে মোশারফ গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা নওশাদ আমার থেকে চাঁদা দাবি করেছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা শতাধিক লোকবল নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এসময় আমাদের দলের কর্মী বাবু নিহত হয়। আমি এই ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেব। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই আমি।

জানা গেছে, গত ১৫ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত টার্ফটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ দশমিক ২২ কাঠা জায়গায় নির্মিত এ আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রয়েছে ছোট পরিসরে ফুটবল খেলার একটা টার্ফ, বেডমিন্টন কোট, সর্ব সাধারণের চলাচলের জন্য একটি প্রশস্ত ওয়াকওয়ে। খেলোয়াড়দের জন্য রয়েছে ড্রেসিং রুম এবং ওয়াশ ব্লক। আছে শিশুদের খেলাধুলার জন্য চাইল্ড জোন। পড়ন্ত বিকেলে সময় কাটানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে একটি নান্দনিক মুক্তমঞ্চ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান
পরবর্তী নিবন্ধবিপ্লব উদ্যানের ‘বাণিজ্যিক স্থাপনা’ এবার সরবে?