অবস্থানগত কারণে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাছের এলাকা বন্দর সেন্টারের গুরুত্ব বাড়ছে। কেইপিজেড, কাফকো ও সিইউএফএলের জন্য আগে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা এই এলাকার সড়ক যোগাযোগ আধুনিকায়নে উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
বঙ্গবন্ধু টানেলের মূল সড়কটি বন্দর সেন্টারের পাশ দিয়ে গিয়ে যুক্ত হয়েছে ৬ লেইনের সংযোগ সড়কের সঙ্গে। টানেল চালু হলে সেন্টার এলাকাটি হবে আনোয়ারা প্রান্তের প্রথম জংশন। এখান থেকে মাত্র ১০ মিনিটে যাওয়া যাবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
বন্দর সেন্টারের পাশেই রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেডের বিশাল শিল্প এলাকা। এখানে কাজ করেন ৩০ হাজার কর্মী। এর লাগোয়া বহুজাতিক কোম্পানি কাফকোর ৩ শতাধিক কর্মকর্তার কাফকো হাউজিং। আধা কিলোমিটার দূরে সিইউএফএলের ৮শ কর্মকর্তার আবাসিক এলাকা ও ডিএপি সার কারখানার শতাধিক ফ্ল্যাটের আরেকটি আবাসিক এলাকা। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্র পারকী সৈকত, মেরিন একাডেমি ও শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজারে যাতায়াতের মূল টার্নিং পয়েন্ট এই সেন্টার। ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে বন্দর সেন্টারকে ঘিরে নেয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, চাতরী চৌমুহনী পর্যন্ত সিইউএফএল সড়কটি হবে ৩৪ ফুট প্রশস্তের। এটি সিইউএফএলের মালিকানাধীন হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় সড়কটি প্রশস্ত করে চাতরী থেকে সেন্টার হয়ে বদলপুরা থেকে মইজ্যারটেক পর্যন্ত যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে সড়ক বিভাগের। এছাড়া সেন্টার থেকে মোহছেন আউলিয়া পর্যন্ত যাতায়াতের যে সড়ক রয়েছে সেটিও হবে ১৮ ফুট প্রশস্ত। বর্তমানে ১২ ফুট প্রশস্তের এই সড়কটি দুই লেইনের করা হলে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে কেইপিজেডের কারখানাগুলোর ছুটির সময়ে এখানে প্রতিদিন যানজট হয়। দুটি সড়ক প্রশস্ত ও মূল জংশনে গোল চক্কর করা হলে যানজট থেকে অনেকাংশে মুক্তি মিলবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ঐকান্তিক চেষ্টায় আনোয়ারারযোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে। সেন্টার চৌমুহনী সড়ক প্রশস্ত হলে যোগাযোগ আরো সহজ হবে।
কাফকো কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, অবস্থানগত কারণে বন্দর সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ। বহুজাতিক কাফকো কলোনি, সিইউএফএল কলোনি ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তম রেমিট্যান্স এলাকা বখতেয়ারপাড়া কাছাকাছি হওয়ায় এখানকার জীবনমান আশপাশের অন্য এলাকার চেয়ে আলাদা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ আজাদীকে বলেন, বন্দর সেন্টার সংযোগস্থলের দুটি সড়কই প্রশস্ত হচ্ছে। মূল সড়কটি হবে ৩৪ ফুট ও মোহছেন আউলিয়া সড়কটি হবে ১৮ ফুট।