টানা ৮ম জয়ে শিরোপার আরো কাছে আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৭ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

একে একে আটটি জয় তুলে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। শিরোপা থেকে কেবল মাত্র তিন কদম দূরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। একের পর এক প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়ার মিছিলে এবার যোগ করল আবাহনী ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবকে। গতকাল আবাহনীর সামনে উড়ে গেল ইস্পাহানীও। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবকে ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে টানা অষ্টম জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী। সাব্বির আর জীবনের টর্নেডো ব্যাটিংয়ের পর আবুল হাসনাতের মারাত্মক বোলিং বিশাল জয় এনে দেয়ে আবাহনীকে। ম্যাচের প্রথমভাগে আবাহনীকে রানের পাহাড়ে তুলে দিয়েছিল ব্যাটাররা। পরে বোলাররা উড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। বিশেষ করে আবুল হাসনাত। তার ঘূর্ণির মুখে পড়ে কুপোকাত হয়েছে ইস্পাহানী।

যদিও সকালে টসে জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানিয়ে দারুন চমক দিয়েছিল ইস্পাহানীর অধিনায়ক। তার বোলাররাও সে সিদ্ধান্তের পক্ষে দারুন ভূমিকা রাখছিল। আবাহনীর টপ অর্ডার ভেঙ্গে পড়ে শুরুতেই। ৯ রানে দুই ওপেনারকে হারানো আবাহনী ৪০ রানে হারায় ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে শোয়েব এবং নাইম মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার লিগে গতকালই প্রথম খেলতে নেমে দারুন ব্যাটিং করছিলেন নাইম। কিন্তু শোয়েবের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরেন নাইম। ভাঙ্গে ৬৯ রানের জুটি। ৩৮ রান করে ফিরেন নাইম। এরপর বেশিক্ষন থাকতে পারেননি শোয়েবও। ফিরেছেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে থাকতে। অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন এবং আবুল হাসনাত যখন ফিরেন তখন আবাহনীর সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৬১। সে অবস্থায় দলের হাল ধরেন আবু বক্কর জীবন এবং আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সাব্বির হোসেন। দুজন আর কোন সুযোগ দেননি ইস্পাহানীর বোলারদের। মাত্র ৬৪ বলে ১০৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন দুজন। আর তাতেই আবাহনীর স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ২৬৯ রানে। ৬২ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। তকে ৩৯ বলে ৮টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন আবু বক্কর জীবন। ইস্পাহানীর পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রোহান এবং জয়।

২৭০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ইস্পাহানী। ৪৫ রানে যেতে তিন উইকেট নেই ইস্পাহানীর। সে অবস্থায় প্রতিরোধ গড়েন রোহান এবং শুভ। দুজন মিলে যোগ করেন ৭৫ রান। কিন্তু ৩২ রান করা শুভকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন শোয়েব। এরপর স্পিনের মায়াজালে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেন তরুন আবুল হাসনাত। তার ঘূর্ণির সামনে আর দাঁড়াতে পারেনি ইস্পাহানীর ব্যাটাররা। নিজেদের একাডেমি থেকে উঠে আসা এই স্পিনার একাই যেন ঘায়েল করে দিলেন প্রতিপক্ষ ইস্পাহানীকে। একপ্রান্তে রোহান ঠেকিয়ে রাখলেও অপর প্রান্তে কেবলই আসা যাওয়া করেছে হাসনাতের ঘূর্ণির সামনে পড়ে। ইস্পাহানী তাদের শেষ পাঁচটি উইকেট হারায় মাত্র ২৪ রানে। ফলে ১৬৮ রানে অল আউট হয় ইস্পাহানী এসসি ৯.২ ওভার বাকি থাকতে। চার নম্বরে নেমে একাই লড়াই করা রোহান ৬৪ বলে করেন ৬০ রান। শেষের ছয়জন সহ মোট সাতজন ব্যাটার দুই অংকের ঘরে যাওয়ার আগেই আউট হয়েছে ইস্পাহানীর। আর তাতেই বিশাল পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। আবাহনীর আবুল হাসনাত ৯.৪ ওভার বল করে মাত্র ৩০ রান খরচায় ধ্বসিয়ে দিয়েছে ইস্পাহানীর ব্যাটিং লাইনকে। ২টি উইকেট নিয়েছেন আবু বক্কর জীবন। আজকের খেলায় অংশ নেবে পাইরেট্‌্‌স অব চিটাগাং এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিজিএমইএ হাসপাতালে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্সরে মেশিন
পরবর্তী নিবন্ধখুলশীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন