চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে এবারসহ টানা ৬ বছর পাসের হার ও জিপিএ–৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যার মধ্যে মেয়েদের পাসের হার ৫৫ দশমিক ৪৯ আর ছেলেদের পাসের হার ৪৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে মোট জিপিএ–৫ পাওয়া ৬ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৫ জন। ছাত্র ২ হাজার ৬৬২ জন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গত বছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ; যার মধ্যে মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৪৯ শতাংশ আর ছেলেদের পাসের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ–৫ পাওয়া ১০ হাজার ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৭৫৯ জন। ছাত্র ছিল ৪ হাজার ৫১০ জন। এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ। একইভাবে জিপিএ–৫ পাওয়া ৬ হাজার ৩৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৫৪ জন আর ছেলেদের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৮৫ জন।
২০২২ সালে মেয়েদের পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যার বিপরীতে ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। একইভাবে ওই বছর ১২ হাজার ৬৭০ জন জিপিএ–৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১০৬ জন আর ছাত্রদের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৫৬৪ জন। ২০২১ সালে কম বিষয় ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ওই বছর মোট ১৩ হাজার ৭২০ জিপিএ–৫ পাওয়া ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৭ হাজার ৬৭০ জন ছাত্রী জিপিএ–৫ পেয়েছে। ছেলেদের মধ্যে জিপিএ–৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৫০জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা হয়নি। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নে সবাই পাস করে। ওই বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ–৫ পাওয়া ১২ হাজার ১৪৩জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৯৬জন। ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ–৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৭৪৭জন।