চট্টগ্রামে পরপর তৃতীয় দিনের মতো করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি। এ সময়ে কোভিডে কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর এগারো ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ৪০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নগরী ও ১৫ উপজেলার মধ্যে একমাত্র পজিটিভ ব্যক্তি হাটহাজারীর বাসিন্দা।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬২৫ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৮৯ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩৬ জন। গতকাল শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রামের একমাত্র করোনার জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন বেসরকারি এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে। এখানে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
এছাড়া, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৬, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৩৩, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩, বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪০, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩১, ল্যাব এইডে ২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৩ টি নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা হয়। এগারো ল্যাবে পরীক্ষিত ৩৫১ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রেই এন্টিজেন টেস্ট হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চমেকহা, আরটিআরএল, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।