টানা বৃষ্টির পরও জলাবদ্ধতা না হওয়া বড় সাফল্য

নগরের বিভিন্ন স্পটে জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পরিদর্শনে ফারুক ই আজম

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩১ মে, ২০২৫ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টির পরও নগরে জলাবদ্ধতা না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। তিনি মনে করেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ (চসিক) অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণেই এ সাফল্য এসেছে। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরের বিভিন্ন স্পটে জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে ভিডিও কলের মাধ্যমে অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরেন।

গতকাল ফারুক ই আজম রহমতগঞ্জ, জেএমসেন লেন, জিইসি মোড়, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, টানা বৃষ্টির পরও নগরে জলাবদ্ধতা না হওয়া একটি বড় সাফল্য। এই সাফল্যের পেছনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে কাজ চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতেও নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। চলমান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে।

উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। আজাদীকে তিনি বলেন, যেসব এলাকা উপদেষ্টা মহোদয় ঘুরে দেখেছেন সেখানে কোথাও জলাবদ্ধতা হয়নি। খালগুলোও পরিষ্কার ছিল। পানির ফ্লোও ভালো ছিল। এতে উপদেষ্টা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সিটি কর্পোরেশনসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নগরবাসী রক্ষা পেয়েছেন। ভবিষ্যতেও নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় তিনি (উপদেষ্টা) সম্মিলিতভাবে কাজ অব্যাহত রাখতে বলেছেন। পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন, চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা ও সিটি মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল
পরবর্তী নিবন্ধদেশের সমস্যা বারবার বাইরে গিয়ে বলে লাভ নেই : খসরু