পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতন পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। এতে দেশের বড় এ পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক সাড়ে পাঁচ বছর আগের অবস্থানে নেমেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুর কয়েক মিনিট ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হলেও দিন শেষে টানা পতনে সূচক কমেছে ৪১ পয়েন্ট। এতে টানা পাঁচ দিনের পতনে মোট ১২৩ পয়েন্ট হারায় মূল্যসূচক।
টানা দরপতনে ডিএসইএক্স নেমে এসেছে ৪৬৭৮ পয়েন্টে। সাড়ে পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ছিল একই অবস্থানে (৪ হাজার ৬৭৮ পয়েন্ট)। পরের বছর ১৮ মার্চে কোভিডের সময় ডিএসই সূচক আরও কমে নেমেছিল ৩ হাজার ৬০৩ পয়েন্টে। এরপর থেকে সূচক ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
সূচকের সঙ্গে এদিন ডিএসইতে লেনদেনও কমেছে। মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৭৩ কোটি টাকা, আগের দিন যা ছিল প্রায় ২৮৩ কোটি টাকা। গত ৬ মে বড় পতনের পর গত ১৪ মে লেনদেনও কমে যায় তিনশ কোটি টাকার নিচে। তারপর থেকে সূচক ও লেনদেন কমতে দেখছেন হতাশ বিনিয়োগকারীরা। খবর বিডিনিউজের।
মঙ্গলবার সকালে সূচকের উত্থান দিয়ে শুরু হলেও পরে আগের কয়েকদিনের ধারায় পতনমুখী হয়ে পড়ে বাজার। শেষ বেলায় আরও কমে ৪১ পয়েন্ট কমে যায় সূচক। এদিন ডিএসইতে বস্ত্র, প্রকৌশল, জ্বালানি, বীমাসহ ওষুধ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর পতন হলে সার্বিক সূচক পড়ে যায়। এরমধ্যেও ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার হাতবদল হয় ব্যাংক, খাদ্য ও অনুষঙ্গিক এবং জ্বালানি খাতের কোম্পানির।
আগের দিনের মত একক খাত হিসেবে ব্যাংক খাতে সবচেয়ে বেশি ৫৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। আগের দিন যা ছিল ৪৬ কোটি টাকা। এরপর থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শেয়ারদর বৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে আসে আইসিবি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। অন্যদিকে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শেয়ার দর হারানোর শীর্ষে চলে আসে এনসিসি ব্যাংক, সোনারগাঁও টেঙটাইলস ও এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।